October 24, 2024

বারোমাসের গাঁদাফুল চাষে তিনগুন লাভ! শুধু চাষ করতে হবে এই ভাবে 

1 min read

বারোমাসের গাঁদাফুল চাষে তিনগুন লাভ! শুধু চাষ করতে হবে এই ভাবে

শাকসবজি চাষের চেয়েও তিনগুণ লাভ গাঁদা ফুল চাষে। তাই বারোমাসি গাঁদা ফুল চাষ করে লাভবান হয়ে উঠেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষক অশোক রায়।শাকসবজি চাষের চেয়েও তিনগুণ লাভ গাঁদা ফুল চাষে। তাই বারোমাসি গাঁদা ফুল চাষ করে লাভবান হয়ে উঠেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষক অশোক রায়।

 

অশোক রায় জানান, সবজি কিংবা রবিশস্যে চাষে খরচ অনেকটাই বেশি হয়। পাশাপাশি এই সমস্ত চাষে ঘাটতির ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গাঁদা ফুল চাষের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আবহাওয়া ও সামান্য একটু পরিশ্রমে লাভবান হয়ে উঠা যায়। তাই শাকসবজি ছেড়ে গাঁদা ফুল চাষে মন দিয়েছেন কৃষক অশোক রায়।কৃষক অশোক রায় জানান গাঁদা ফুল মূলত দুই রকম মরশুমে হয় শীতকালেও বর্ষাকালে। তবে এখন গ্রীষ্ম কালে পাওয়া যায়। তবে শীতকালে নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই গাঁদা ফুল চাষ করা হয়। ও বর্ষাকালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ হয়। তাই মূলত সারা বছরই এই গাঁদা ফুল পাওয়া যায়।এই গাঁদা ফুল চাষ অন্যান্য ফসলের চেয়ে অত্যন্ত লাভজনক। বর্তমানে বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে এই গাঁদা ফুল বিক্রি হয়। চাষের জন্য মূলত এটেল বা দোয়াশ মাটির প্রয়োজন। তবে এই গাঁদা ফুল চাষের জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মাটি নিচু না হয়। অর্থাৎ জমিতে যেন জল জমে না থাকে। পাশাপাশি জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও এই গাঁদা চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারির দুরত্ব হবে ২ হাত এবং চারা থেকে চারার দুরত্ব হবে ৬ ইঞ্চি।সাধারণত গাঁদা ফুলে সেচ দিতে হয় খুব ভোরে অথবা সন্ধার আগে । কারণ এসময় প্রচন্ড রোদে জমির মাটি গরম থাকে। ঐ অবস্থায় জমিতে সেচ দিলে চারার খুব ক্ষতি হয়। এইজন্য জমির মাটি ঠান্ডা থাকা অবস্থায় সেচ দিতে হয়। এইভাবে কিছু নিয়ম মেনে চললে অল্প সময়ে গাঁদা ফুল চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *