October 24, 2024

উধাও টাকা, বায়োমেট্রিক জালিয়াতির শিকার রায়গঞ্জের শিক্ষক!

1 min read

 উধাও টাকা, বায়োমেট্রিক জালিয়াতির শিকার রায়গঞ্জের শিক্ষক!

ব্যাংকে জমা থাকা হাতাতে হ্যাকাররা এখন ব্যবহার করছে আরও নানান পদ্ধতি। বায়োমেট্রিক জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও করে দেওয়ার পদ্ধতি নিয়েছে হ্যাকাররা। আধার কার্ড তৈরির সময় আঙুলের ছাপ বা চোখের রেটিনা স্ক্যান করে যে তথ্য জমা হয়েছিল সরকারি দপ্তরে, সেই তথ্য ব্যবহার করে জালিয়াতির পথ খুঁজছে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, জমি বা বাড়ি বিক্রির সময় রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে যে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করা হয় তা জালিয়াতি করেও লক্ষ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনই এক জালিয়াতির শিকার হলেন রায়গঞ্জ রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের শিক্ষক কৌস্তুভ মোদক।

রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা বছর ৫০-এর কৌস্তুভবাবু মোবাইলে একটি মেসেজ পান যে, গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার এবং ৮ সেপ্টেম্বর আবারও ১০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। অথচ এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনও লেনদেন করেননি। তবে গত মার্চে চুঁচুড়াতে জমি বিক্রির রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার হয়েছে বলে জানান কৌস্তুভবাবু। সোমবার তিনি জানান, ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন যে, এইপিএস বা আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁর এই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও কৌস্তুভবাবুর দাবি, গত মার্চে জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাজ ছাড়া আর কোথাও তিনি আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করেননি। শেষমেষ এদিন তিনি ব্যাংক ও পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের দ্বারস্থ হন।

 

ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে এধরনের প্রতারণা চক্রের রমরমা চলছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের রায়গঞ্জ শাখার ডেপুটি ম্যানেজার অপূর্ব মিস্ত্রি সাধারণ মানুষকে এধরনের প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মোবাইল গেমিং, অনলাইন শপিং বা ওটিপি সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত জরুরি।’ এছাড়াও এম আধার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে নিজের ফিঙ্গার প্রিন্ট লক করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *