October 25, 2024

বিঘাতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ বিঘোরের বেগুন চাষে! খুশিতে ভাসছেন চাষিরা

1 min read

বিঘাতে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ বিঘোরের বেগুন চাষে! খুশিতে ভাসছেন চাষিরা

বিঘোরের বেগুন আর তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত ছাড়া শীতের মরশুম রায়গঞ্জবাসীর কাছে অনেকটা লবণ ছাড়া তরকারির মতো হয়। শুধু তাই নয়, দূরদূরান্তে থাকা আত্মীয় স্বজনদের বিঘোরের বেগুন না-পাঠালে চলে না এলাকাবাসীর। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় বিঘোরের বেগুন এখন এই অঞ্চলের এলাকার চাষীদের জীবন-জীবিকার অন্যতম ভরসা। বিঘার পর বিঘা জমি সবুজ বেগুনে ভর্তি। শুধু এই জেলা নয় অন্যান্য জেলাতেও কদর বেড়েছে এই বিশেষ বেগুনের রায়গঞ্জ ব্লকের বিঘোর, ভিটিকাটিহার, দুপদুয়ার, ছিট মহারাজপুর এলাকার গ্রামে বিঘোরের বেগুন চাষ হয়ে থাকে। এক-একটা বেগুন এক কিলো থেকে দু’কিলো ওজনের হয়। সুস্বাদু বিঘোরের বেগুনের স্বাদ নিতে রায়গঞ্জ শহরের বাজারে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

 

উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে আজ যা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে সমাদরে গৃহীত হয়েছে। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এই বেগুন একবার খেলে স্বাদ ভোলা যায় না। তাই প্রতিবছরই শীতকাল এলেই এই বেগুনের চাহিদা বাড়ে। বর্তমানে ৮ থেকে ১০টি গ্রামে এই প্রজাতির বেগুন চাষ হয়। শুধু চাষ নয়, বেগুনের চাহিদাও দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। বিঘের পর বিঘে চাষ হয় বিঘোরের বেগুন।বিগত বছরগুলির তুলনায় চলতি বছরে রেকর্ড সংখ্যক বেগুনের চাষ হয়েছে এই সমস্ত এলাকায়।

 

 

একই ছবি ভিটিয়ার এলাকাতেও। কৃষকরা জানান, তাদের উত্‍পাদিত বেগুন রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলাতে রফতানি হয়। জেলার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও এর চাহিদা বেড়েছে। কৃষকদের কথায়, প্রতিবছর বন্যার সময় এই এলাকায় জল জমে যায় ফলে জমিতে পলি পড়ে। তাই এই জমিতে উত্‍পাদিত বেগুনের স্বাদ অনেকটাই বেশি। এই প্রসঙ্গেই রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহ: হবিবুর রহমান বলেন, এবছরে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে এই বেগুনের চাষ হয়েছে। বিঘা প্রতি গড়ে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হয় বলে দাবি তাঁর। এই চাষের জন্য পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিভিন্ন সহায়তাও প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *