October 25, 2024

শিলিগুড়িতে ভাষাদিবসের মঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গবাসীকে ৮৮টি প্রকল্প উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

1 min read

শিলিগুড়িতে ভাষাদিবসের মঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গবাসীকে ৮৮টি প্রকল্প উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শিলিগুড়িতে ভাষাদিবসের মঞ্চ থেকে উত্তরবঙ্গবাসীকে ৮৮টি প্রকল্প উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি ২ লক্ষ উপভোক্তার হাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও তুলে দিয়েছে। যারমধ্যে জমির অধিকার পেয়েছেন ৪ হাজার জন। পাশাপাশি, বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করেছেন নতুন প্রকল্প ‘ভবিষ্যত্’। এনিয়ে পাহাড় থেকে সমতল, শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার সর্বস্তরের মানুষ রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।ভাষাদিবস উপলক্ষে এদিন শিলিগুড়িতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করার পর তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। সেই তালিকায় দার্জিলিং জেলার ২১০কোটি টাকার প্রকল্প শিলান্যাস করেন। সেই তালিকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক, মিরিক হাসপাতালকে ১০০ বেডে উত্তীর্ণ করা, কমিউনিটি হল সহ ৩৭টি প্রকল্প রয়েছে। আর ৩১কোটি টাকায় নির্মিত ১৮টি প্রকল্পের উদ্বোধ করেন। এই তালিকায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে হাইব্রিড সিসিইউ, শিশুদের হোম, অতিথি নিবাস প্রভৃতি রয়েছে। একই রকমভাবে কালিম্পং জেলার ১৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। যা নির্মাণ করতে খরচ হবে ৮৪কোটি ২৭লক্ষ টাকা।

 

আর ১০কোটি ৪৬লক্ষ টাকায় নির্মিত ১৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।এরবাইরে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার জল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে তিনি এদিন সভা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার প্রকল্প উপহার দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের জন্য ৮৮টি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। যারমধ্যে কিছু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আর কিছু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হল।এদিনের সভা থেকে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সভা থেকে সবুজসাথী, লক্ষ্মীভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, চোখেরআলো সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ৫০জন উপভোক্তাকে সুবিধা প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিন মাস অন্তর দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হয়। গত নভেম্বর মাসে এই ক্যাম্প হয়েছিল। সেই ক্যাম্পে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এসেছিলেন। যারমধ্যে সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। এই সভা থেকে ২ লক্ষ মানুষের কাছে পরিষেবা তুলে দেওয়া হচ্ছে। আরও ২০ লক্ষ জনকে পরিষেবা প্রদান করার ব্যবস্থা রয়েছে। লক্ষ্মীভাণ্ডারের উপভোক্তারা ৬০বছর পর স্বাভাবিক নিয়মেই বয়স্কভাতা পাবেন। তাঁরা মাসে ১০০০টাকা করে পাবেন।শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের পাট্টাও প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগানের শ্রমিকদের, উদ্বাস্তুদের, কৃষকদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিং জেলার ১৯৮জন, কালিম্পংয়ের ৪৮জন, জলপাইগুড়ির ১৫০জন, আলিপুরদুয়ারে ৮৫০জন এবং কোচবিহারে ২০৪০জনকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে পাট্টা পেয়েছেন ৪হাজার জন। বেশ কিছু চা বাগানের জমি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ভূমিহীন চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা শীঘ্রই দেওয়া হবে।একইসঙ্গে যুবকদের ব্যবসায় জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, যুবকদের জন্য ভবিষ্যৎ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গড়া হবে ২০লক্ষ গোষ্ঠী। প্রত্যেক গোষ্ঠী ৫লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যার গ্রান্টার হবে সরকার। এই টাকায় পর্যটন, হোমস্টে সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টাকা পয়সা নেই। তবু সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়নি। এই কয়েক বছরে ডিএ দিতে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *