December 22, 2024

তদন্তে গিয়ে ক্ষোভের মুখে আধিকারিকরা ,পুকুর না খুঁড়েই তুলে নেওয়া হয়েছে বিল

1 min read

তদন্তে গিয়ে ক্ষোভের মুখে আধিকারিকরা ,পুকুর না খুঁড়েই তুলে নেওয়া হয়েছে বিল

পুকুর খনন না করেই বিল তুলে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা। এমন অভিযোগ করে প্রায় ৩ মাস ধরে সোচ্চার হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও সঠিক তদন্ত হয়নি। ফলে অভিযুক্তরা বেঁচে যাচ্ছেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন। আজ আদালতের নির্দেশে রায়গঞ্জ ব্লকের এনআরইজিএস প্রকল্পের আধিকারিকেরা ও নির্মাণ সহায়ক এলাকায় তদন্ত করতে এলে অভিযোগকারীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।

পরে পুলিশ এসে তাঁদের ঘেরাও মুক্ত করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২১টি পুকুর খনন না করেই বিল তুলে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা। অথচ তদন্তকারীরা সেই অভিযোগের তদন্ত না করে ৫০ বছরের পুরোনো পুকুরের মাপজোখ করছিলেন।মাহাতাব আলি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পুকুর খননের অভিযোগ জানিয়েও আসল বিচার না পেয়ে হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পুকুর খননের তদন্ত করতে এসে অফিসাররা পুরোনো পুকুরের মাপজোখ করেন। গ্রামবাসীরা তা মেনে নিতে পারেননি। তাই তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।’ তাঁদের দাবি, ২১টি পুকুরের মধ্যে ৩টি পুকুরের খোঁজ মেলেছে। ১৮টি পুকুর খনন না করেই বিল তুলে নিয়েছেন অভিযুক্তরা। এর আগেও চুপচাপ তদন্ত করতে এসে অফিসাররা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, যাদের নামে পুকুর দেখিয়ে বিল তোলা হয়েছে তাদের কোনও জায়গা জমি নেই। ভুতুড়ে বিল বানিয়ে তা তুলে নেওয়া হয়েছে।এক গ্রামবাসী সাজাদ আলি বলেন, ‘পুকুর না খুঁড়েই বিল তুলে নেওয়ায় গ্রামবাসীরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছেন। আজ সঠিক তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।’ এদিন অভিযোগকারীদের না নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও নির্মাণ সহায়ক ব্লকের অফিসারদের পুকুর খননের জায়গাগুলিতে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ জানান গ্রামবাসীরা। তাঁদের ক্ষোভ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অভিযুক্ত। তাই তাঁকে নিয়ে তদন্ত কেন করা হবে। ব্লকের এক অফিসার বলেন, ‘আমরা জায়গা চিনি না। তাই ওরা আমাদের চিনিয়ে দিয়েছে। আমরা চাই না সরকারি টাকা নয়ছয় হোক।’ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, ‘আজ আমাদের এক প্রতিনিধি দল আদালতের নির্দেশে তদন্ত করতে গেলে অভিযোগকারীরা আটকে রাখে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *