October 26, 2024

ডিজিটাল মা চুরি করল মোবাইল কালিয়াগঞ্জে

1 min read

জয়ন্ত বোস ,বর্তমানের কথা  ভাবতে যেমন গা শিউরে ওঠে তেমনি প্রতিবেদন লিখতে সঙ্কোচ হয়।  এই সমাজে বিভিন্ন ভদ্র মুখোশের আড়ালে রাঘব বোয়াল চুরি করা চোর হামেশাই চুরি করছে ও কলার উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই খবর না প্রকাশিত হলেও সমাজ জানে। কিন্তু এক গ্যাং এর মধ্যে থেকে  চুরি করা কে পেশায় নিতে পারেন এক ৬২-৬৩ বছরের মাতৃসম বৃদ্ধা তা দেখলে শিউরে উঠার সাথে ভাবতেই নিজেদের কত ছোট মনে হয়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 দিনের পর দিন এইভাবেই মাতৃসম বৃদ্ধার ভাবমূর্তি কে কাজে লাগিয়ে কত মানুষের সর্বনাশ করছে কে জানে। কিন্তু আজ সকলে জানলো তার আসল পরিচয়। ঘটনা সকাল গড়িয়ে কেবল দ্বিপ্রহর, সময় দুপুর ১২টা। কালিয়াগঞ্জে ধনকোলে  সোমবার হাট। হাট কে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে হরিহরপুরে পঞ্চানন মোড়ে। এই মোড়ের উপর স্থানিয় যুবক নারায়ন দাসের একটি মোবাইলের দোকান। নতুন মোবাইল বিক্রি এবং মোবাইল রিপেয়ারিং করে ব্যাবসা করে। এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক তার নিজের মোবাইলে একটি সফটওয়্যার প্রবলেম ঠিক করতে নারায়ন দাসের মোবাইল দোকানে হাজির হয়। এমন সময় একজন বয়স্ক মহিলা এসে হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল কিনবেন বলে নারায়ন দাসের কে মোবাইল দেখাতে বলে। নারায়ন দাস তার নিজস্ব ব্যাবহার করা দুটি মোবাইল এবং নতুন তিনটি মোবাইল তার দোকানের শোকেসের উপর রেখে প্রতিবেদকের সাথে প্রতিবেদকের মোবাইলের প্রবলেম নিয়ে কথা বলার ফাঁকে দেখা যায় ঐ বৃদ্ধা মহিলা দোকান থেকে বেড়িয়ে গেছেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারে নি দোকানদার। প্রতিবেদকের মোবাইল ঠিক হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেদক দোকানদারের মোবাইল নং এ ফোন কল করে টেস্ট করছে তখন রিং হতে থাকলেও মোবাইল টি খুঁজে না পাওয়াতে দোকানদারের সন্দেহ জাগে ঐ বৃদ্ধাই মোবাইল টি চুরি করেছে। ততক্ষণে ১৫ মিঃ অতিক্রম করে গেছে। দোকানদার প্রতিবেদক কে দোকানে রেখে ভীরে ঠাসা রাস্তায় বেড়িয়ে পরে বৃদ্ধার খোঁজে। কিছুক্ষণ পর একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ সহ বৃদ্ধা কে ধরে নিয়ে আসে দোকানের সামনে। ঐ ব্যাগের ভিতর থেকেই পাওয়া যায় দোকানদারের মোবাইল ফোন টি। ততক্ষণে হাট চলতি ফিরতি প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে এবং বৃদ্ধাকে মারতে উদ্ধত হয়ে উঠে। প্রতিবেদক সকলের কাছ থেকে বৃদ্ধাকে রক্ষা করে তার হেফাজতে নেয়। বৃদ্ধার ঐ ব্যাগের ভেতর থেকে বৃদ্ধার নিজস্ব একটি চার্জার সহ মোবাইল পাওয়া যায়। ঐ মোবাইল টি বের করে নিতেই বৃদ্ধা বিনা চোখের জলে কান্নার ভাষা করে সকলের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকে। নিজের নাম কখনই প্রকাশ করে নি এমনকি নিজের বাড়ি প্রকৃত কোথায় হাজার বার প্রশ্ন করেও জানা যায়নি। তবে বৃদ্ধার মোবাইলের শেষ কল লিস্ট দেখে জানা যায় গঙ্গারামপুরের কার্তিক মালাকার নামে একজনের সাথে তার শেষ কথা হয়েছিল মোবাইল টি চুরি যাওয়ার পর পরেই। অগনিত মানুষের ক্ষোভের হাত থেকে বৃদ্ধাকে বাঁচিয়ে তুলতে প্রতিবেদক সিভিক পুলিশদের মাধ্যমে কালিয়াগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করে বৃদ্ধাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রানে বাঁচলেও মাতৃসম একজন বৃদ্ধা যে প্রকাশ্য দিবালোকে পেশাদার একজন চোর হতে পারে তা সচক্ষে দেখে অগনিত মানুষ অবাক ও বিস্মিত।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *