October 26, 2024

রায়গঞ্জ সমাজ কল্যানের বহুমুখী কর্মকান্ড

1 min read
তপন চক্রবর্তী-সমাজসেবায় নিয়োজিত মন প্রানের মানুষ প্রয়াত সুজিৎ ভূষণ রায়ের আন্তরিকতায় যে সমাজ সেবা বিভাগ  তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানটি আজও স্রোতস্বিনী নদীর মতই বয়ে চলেছে।রায়গঞ্জ সমাজ সেবা বিভাগ ১৯৭৪ সালে দুস্থ্য মানুষদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবার জন্য গড়ে তুলেছিলেন ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সেইপ্রতিষ্ঠানটি কর্মব্যস্ততা আজও মানুষের নজর কারে।রায়গঞ্জের প্রাণ পুরুষ তথা  প্রতিষ্ঠাতা    সুজিত ভূষণ রায় প্রয়াত হন২০১১সালের ১৬ই জানুয়ারিতে।সংস্থার সাধারন সম্পাদক নীরোধ রঞ্জন রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সুজিত ভূষণ রায়ের হাত ধরেই আমাদের আসা।একটি বেসরকারি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতা থাকলে অনেক দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যেতে পারে।এই সংস্থার কর্মকান্ড বহুমুখী।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় শনিবার সাংস্কৃতিক ও কবিতা পাঠের  অনুষ্ঠান । প্রত্যেক মাসের শেষ শনিবার স্বাস্থ্য শিবির । শহরের প্রথিতযশা দশ থেকে বারোজন চিকিৎসক সবসময়ের জন্য  সহযোগিতা করে থাকেন সমাজসেবার মন্ত্র নিয়ে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 সারাবছর বিভিন্ন সেবা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে প্রথম থেকেই কি সরকারি কি বেসরকারি সর্ব ক্ষেত্রেই প্ৰকৃত অর্থেই সেবা মূলক কাজের তকমা অনেক আগেই পেয়েছে এই সংস্থা তার কর্মকান্ডের নিরিখে।সমাজ সেবামুলক কাজের জন্য শুধু জেলাতেই নয় জেলার বাইরেও এই সংস্থার অবাধ বিচরণ।সংস্থার সভাপতি সৌজেন্দ্র কুমার ধর বলেন রায়গঞ্জ সমাজ সেবা বিভাগ সমাজের নানা কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

এই সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটি একদিকে যেমন সমাজের দুস্থ্য পরিবারের শিশুদের শিক্ষা নিয়ে নানান ধরনের কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত করে থাকে,তেমনি ভাবে এলাকার সুস্থ সাংস্কৃতিক চেতনা বাড়াতে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান করে চলেছে বলে  সৌজেন্দ্র বাবু জানান।এই সংস্থার সম্পাদক ডঃ উত্তম মিত্র বলেন  তাদের সংস্থার মাধ্যমে প্রচুর   –ডায়াবিটিক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।

রায়গঞ্জের প্রথিতযশা চিকিৎসকেরা এই আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ করেন শুধু নয় দুস্থদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে।  রাজ্য সরকারের বদান্যতায় তাদের সংস্থার ঘরটি সম্প্রতি দ্বিতল করা  হয়েছে।প্রতিনিয়ত দুস্থ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রয়োজন আরো কিছু পরিকাঠামোর উন্নয়ন।রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছে একটি সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান যদি সমাজের সেবা মূলক কাজ করতে চায় আন্তরিকতার সাথে তাহলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।

গত বছর বন্যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে  রায়গঞ্জ সমাজ সেবা বিভাগের সমস্ত সদস্যরা বন্যা দুর্গতদের পাশে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যা এক কথায় অভাবনীয় বলা যায়।তাই প্রয়াত সুজিত ভূষণ রায়ের স্বপ্ন যেন প্রকৃত অর্থেই স্বার্থক রূপ পায় তার আশীর্বাদ নিয়েই আমরা তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *