October 28, 2024

কলকাতায় ন্যাশনাল আজিটেশন কমিটির রাজ্য সম্মেলনে সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি অবিলম্বে ই পি এফ পেনশনার্সদের পেনশন ৭৫০০টাকার সাথে ডিএ ঘোষণা করতে হবে

1 min read

কলকাতায় ন্যাশনাল আজিটেশন কমিটির রাজ্য সম্মেলনে সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি অবিলম্বে ই পি এফ পেনশনার্সদের পেনশন ৭৫০০টাকার সাথে ডিএ ঘোষণা করতে হবে

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৭ নভেম্বর:কলকাতায় গতকাল ন্যাকের সর্বভারতীয় সভাপতি কম্যান্ডার অশোক রাউৎ জোরালো দাবি জানিয়ে বললেন অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দপ্তরকে ঘোষণা করতে হবে ই পি এফ এর ৬৫ লক্ষ বেসরকারী ও সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তরের কর্মীদের জন্য ৭৫০০টাকা ও ডি এ ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি করেন।কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলনে গতকাল সর্বভারতীয় নেতৃত্বরা সম্মেলনে প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দপ্তরকে অবিলম্বে

 

এই দাবি লাগু করবার দাবি জানান।সর্বভারতীয় সভাপতি কম্যান্ডার অশোক রাউৎ বলেন তারা দেশের প্রধানমন্ত্রী র নজরে তাদের দাবির ব্যাপারে আলোচনা করলেও এখনো কোন সিধান্ত না নেবার কারনে তাদের দীর্ঘ দিনের আন্দোলন সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী চলছে।তিনি বলেন বিজেপি সরকার সব কা সাথ সব কা বিকাশের কথা বললেও কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই।অশোক রাউৎ বলেন ই পি এফ কর্মীদের জমানো অর্থ থেকে কেন ৬৫ লক্ষ অবসর প্রাপ্ত কর্মচারীরা ন্যূনতম পেনশন থেকে বঞ্চিত হবে? বিজেপি সরকার আসার পূর্বে বিজেপি নেতৃত্ব বলেছিল তারা যদি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে দেশের ৬৫ লক্ষ বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীদের সরকারি আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের মতই পেনশন দেবার ব্যবস্থ্যা করবেন নরেন্দ্র দামোদর মোদি।কিন্তু সরকারের কুর্শি দখল করার পর দেখা গেছে নরেন্দ্র মোদি বিশাল জনমত

 

নিয়ে পর পর দুইদুই বার কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করার পর বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সমস্যার সুরাহা আজ পর্যন্ত কিছুই করেনি।দেশেরপ্রধানমন্ত্রী ভারতবর্ষের সিনিয়ার সিটিজেনদের সম্পর্কে তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে অনেক মুখরোচক কথা বললেও তাদের বাঁচার অধিকার বরং কেড়ে নিয়েছে বলা যায়।কারন সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মীরা দেশের স্বার্থে তিরিশ বছর চাকুরী করেছে তাদের অবসর নেবার পর মাত্র একহাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা ই পি এফ এর মাধ্যমে দেওয়া হয়।অথচ তিরিশ বছর ধরে পি এফ ফান্ডে তাদের বেতন থেকে টাকা জমা দিয়ে এসেছে।অবসরপ্রাপ্ত জমা রাশি থেকে যেখানে অবসর প্রাপ্ত বেসরকারি ও সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন প্ৰতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতনের পঞ্চাশ শতাংশ পেনশন পাবার কথা।সেখানে তা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কোন আইনে? যা দেখে মনে হয়

এখনো সেই দাসত্ব প্রথাই চলছে আসছে বিজেপি শাসিত ভারত বর্ষে।ন্যাশনাল আজিটেশন কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক অমিয় কুমার দাস বলেন গত মঙ্গলবার রাজ্যের ই পি এফ পেনশনার্সদের নিয়ে কলকাতার কামারহাটি পৌর সভা ভবনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর সংখক অবসর প্রাপ্ত ই পি এফ কর্মীরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন যারা সারাটা জীবন দেশের স্বার্থে কাজ করে অবসর গ্রহণ করেছে, সরকার তাদের পেনশনের কোন রকম সুযোগ সুবিধা না দিয়ে তাদের কয়েক যুগধরে বঞ্চনার শিকার করে রেখেছে।অথচ আমাদের দেশের সাংসদরা পার্লামেন্টে নানান ধরনের বিল পাস করলেও আমাদের দেশের সাংসদদের ই পি এফ পেনশন ভোগীদের জন্য একটি কথাও খরচ করতে দেখা যায়না। দেশের ৬৫ লক্ষ প্রবীণ নাগরিকরা সারাজীবন ভালো ভাবে জীবনধারণ করার পরে শেষ জীবনে এমন চরম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাবে যা কল্পনার মধ্যেই ছিলনা তাদের কোনদিন। আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থা তেলা মাথায় তেল দেওয়া।একজন বিধায়ক বা সাংসদ পাঁচ বছর কোন রকম পার করতে পারলেই সারা জীবন বসে বসে সরকারি পেনশন পেতে পারে।কিন্তু যে কর্মী একটি সংস্থায় ৩০ টি বছর কাজ করার পর অবসর নেন তদের কেন এবং কোন আইনে জীবনের শেষ প্রান্তে তাদের ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? প্ৰতি মাসে ১০০০হাজার থেকে ২৫০০ টাকা ই পি এফ পেনশন দিয়ে কি করে সংসার চলবে তা চিন্তা করেই অনেককে চলে যেতে হয়েছে পৃথিবী ছেড়ে।অথচ দেশের বিধায়ক ও সাংসদরা পাঁচ বছরের জন্য দেশের কাজ করার নাম করে নিজেদের বেতন ও পেনশনের সুব্যবস্থ্যা করতে তারা সিদ্ধ হস্ত।দেশের ৬৫লক্ষ বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা বড় বড় পদে কাজ করেও আজ তারা নিজেদের জমানো টাকা থেকেও প্রয়োজনীয় জীবন ধারণের জন্য পেনশন না পাবার ফলে চরম সঙ্কটের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছে।অথচ তার নিজের জমাকৃত অর্থ থেকেও কেন পেনশন হিসাবে সেই অর্থ পাচ্ছেনা ই পি এফ পেনশন ভোগীদের প্রশ্ন খোদ প্রধানমন্ত্রী,অর্থ মন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রীর কাছে।প্রধানমন্ত্রীর কাছে ই পি এফ পেনশন ভোগীদের প্রশ্ন সব কা সাথ সব কা বিকাশ কথার সাথে কাজের মিল কোথায়?কেন ই পি এফ কর্মীদের ক্ষেত্রে আপনার সরকার দাসত্ব প্রথা নিয়ম যুগ যুগ ধরে চাপিয়ে রেখেছেন।আপনি না বিশ্বের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সেরা প্রধানমন্ত্রী?আপনার শাসনকালে দেশের একজন ব্যক্তি সরকারি নিয়মে পেনশনের সমস্ত রকম সুযোগ ভোগ করবে আবার দেশের সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা বেসরকারি সংস্থার অবসর প্রাপ্ত কর্মীরা পেনশনের কোন রকম সুযোগ সুবিধা পাবেনা কেন এবং কি কারনে?আপনার সবকা সাথ সব কা বিকাশের এই কি নমুনা?নাকি শুধু শুধুই কাগজে বাঘ?সারা ভারত ই পি এফ কর্মচারীদের সংগঠন ন্যাশনাল আজিটেশন কমিটি(ন্যাক)র স সভাপতি কম্যানডন্ট অশোক রাউৎ বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে ই পি এফ কর্মীদের বর্ধিত পেনশনের দাবি পরিস্কার ভাবে যা জানিয়ে দিয়েছেন তা হল ৭৫০০ শো সাথে ডি এ।একজন সরকারি কর্মচারী যদি তার বেতনের ৫০% শতাংশ পেনশন পেতে পারে তাহলে বেসরকারি সংস্থা বা সরকারি আন্ডারটেকিন সংস্থার কর্মীরা একই ধাঁচে তা কেন পাবেনা?বেসরকারি কর্মীরা যারা একনাগারে দেশের জন্য কাজ করে অবসর নিয়েছে তাদের দোষ কোথায়?কেন এই বৈষম্য? জানা যায় ন্যাকের চাপে পড়ে আগামী ২০ নভেম্বর সি বি টির মিটিং ডাকা হয়েছে।এই বৈঠকে ৬৫লক্ষ ই পি এফ কর্মীদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে যদি কেন্দ্রীয় সরকার ব্যার্থ হয় তাহলে এর ফল কেন্দ্রীয় সরকারকে ভোগ করতে হবে বলে কম্যান্ডার অশোক রাউৎ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *