October 25, 2024

গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাছে সিনেমা হল , কালিয়াগঞ্জের গণেশ টকিজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে , আগামী এক বছরের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ টকিজ বন্ধ হতে চলছে

1 min read

তন্ময়  চক্রবত্তী  ঃ-  উত্তর  দিনাজপুর ঃ- একদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির দাপট অপরদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রভাবে বর্তমানে
হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম সিনেমা হল । 
সিনেমা হলে এখন আর লোক  আসছে না । এটা কালিয়াগঞ্জ টকিজঃ- ছবি ঃ- সত্যেন মহন্ত 

সারা রাজ্যের দের
সাথে সাথে উত্তর দিনাজপুর জেলা তেও বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে।
 আবার কোন কোন সিনেমা হল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
চলছে এখন।
 এমন কিছু সিনেমা হল এর সন্ধানে
বেরিয়ে ধরা পড়লো কিছু ছবি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

দেড়  বছর  আগে বন্ধ হয়ে  গিয়েছে কালিয়াগঞ্জের গণেশ  টকিজ 

দর্শক না থাকার দরুন
দিনের পর দিন লোকসানে পড়া বিভিন্ন 
সিনেমাহলের মালিক কর্তৃপক্ষ। এক এক করে বহু পুরাতন  সিনেমাহল গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন । ফলে
কাজ হারাচ্ছেন বছরের পর বছর সিনেমা হলের বহু 
কর্মীরা। ফলে কাজ হারিয়ে অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন তারা।উত্তর দিনাজপুর  জেলার রায়গঞ্জ , কালিয়াগঞ্জ সহ  বিভিন্ন এলাকায় ছিল অনেক সিনেমা হল।

আগামী  ১ বছরের  মধ্যে  বন্ধ হতে চলছে কালিয়াগ্ঞ্জ টকিজ 
 সে আজ থেকে
বছর দশেক আগেকার কথা। ওই সময় এইসব সিনেমা হল গুলিতে রমরমা বাজার ছিল। সারাদিন
কাজের পর সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাটাই ছিল আলাদা । আর এইসব সিনেমা হল
গুলিতে বহু কর্মী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু সে সব এখন ইতিহাস। সময়ের
সাথে বদলাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি । হলে গিয়ে সিনেমা দেখার জায়গাটা আজ করে নিয়েছে
সিরিয়াল।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});



 ইন্টারনেটের যুগে সিনেমা হলে গিয়ে টানা তিন ঘন্টা এক জায়গায় বসে সময় নষ্ট
করার পাশাপাশি  পয়সা খরচ না করে
ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ঘরে বসে পছন্দ অনুযায়ী সিনেমা দেখার জন্য আজ আর সিনেমা হলে
দর্শক পাওয়া যায় না। তাই বছরের পর বছর লোকসান খেতে খেতে আজ এইসব এলাকার বহু সিনেমা
হল গুলি  বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন হলের
মালিক কর্তৃপক্ষ।এমন একটি  জেলার
কালিয়াগঞ্জের  গণেশ  টকীজ।সেখানে আজ আড় সিনেমা হয় না । তার
বদলে   সেই  সিনেমা 
হল পরিণত হয়েছে গুদামে ।  আর এই এলাকার
আড় যে একটি সিনেমা  হল আছে কালিয়াগঞ্জ  টকীজ 
সেটাও  আবার  টিপটিপ করে লন্ঠনের আলোর মতো।কালিয়াগঞ্জ টকিজ
এর মালিক সুকুমার বর্মন দুঃখের সাথে জানালেন তিনি বলেন আগে প্রচুর তার সিনেমা হলে
মানুষ আসতো সিনেমা দেখতে কিন্তু এখন আর আসে না তার কারণ একটাই এখন ভালো কোনো
সিনেমা তৈরি হচ্ছে না সমস্ত তাই হচ্ছে শহরকেন্দ্রিক তাই গ্রাম বাংলার মানুষরা এই
সিনেমা দেখতে আর আসছে না সিনেমা হলে এর পাশাপাশি হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট মোবাইল
এবং ইউটিউব চলে আসায় নিত্যনতুন সিনেমাটা তারা পেয়ে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তাই আর
তাদের আসতে হচ্ছে না সিনেমা হলে ফলে আজ সিনেমা হল গুলি ঢুকতে বসেছে আগামীতে এভাবে
চলতে পারে না তাই আগামী এক বছরের মধ্যে তিনিও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ঐতিহ্যবাহী
কালিয়াগঞ্জ টকিজ বন্ধ করে দিবেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


অপরদিকে কালিয়াগঞ্জ অপর একটি ঐতিহ্যবাহী সিনেমা
হল গণেশ টকিজ
‘-এর কর্ণধার প্রদীপ গুপ্তা জানান কতদিন তারা আর লোকসানে
বিনোদন দিবেন মানুষকে নিজেদের ঘরের পয়সা আর কতদিন লাগাবেন কারণ একটা সিনেমা আনতে
যেমন প্রচুর খরচা ব্যাপার আছে তেমনি সারা মাসে সিনেমা চালিয়ে তার সিকিভাগও উঠে
আসে না তাই বাধ্য হয়ে সিনেমা হল তারা বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু কিছুই করার নেই
প্রচুর মানুষ বেকার হয়ে গেছে এখন সেই সিনেমা হলে মালপত্র রাখা হয়।অপরদিকে
কালিয়াগঞ্জ এর একজন উঠতি যুবক রাজা ঘোষ জানান একটা সময় তারা বাড়ির সকলে মিলে
এসে সিনেমা হল গুলিতে সিনেমা দেখতে আসতো কত মজা হত কিন্তু আজ সেই মজা নেই কারণ এখন
সেই সিনেমা হল গুলি আগের অবস্থায় নেই পাশাপাশি হাতের মুঠোয় এখন ইন্টারনেট মোবাইল
চলে আসায় এখন সব সিনেমায় সঙ্গে সঙ্গে মানুষ দেখে ফেলছে ফলে সিনেমা মুখী হওয়ার
প্রবণতা কমে গেছে মানুষের মধ্যে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।অপরদিকে বর্তমানে খুঁড়িয়ে
খুঁড়িয়ে চলছে জেলার কালিয়াগঞ্জ এর পাশে দীর্ঘদিন ধরে মুড়ি মিশালি দোকানদার
অশোক সাহা জানালেন তিনি দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে এই সিনেমা হলের পাশে দোকান করছেন
একটা সময় প্রচুর মানুষ সিনেমা দেখতে আসতো তার চোখে দেখা হিমশিম খেতে হত মানুষকে
লম্বা লাইনে টিকিট কাটার ধুম ছিল আলাদাই কিন্তু আজ সেই সব হারিয়ে গেছে এখন হাতে
গোনা মাত্র কয়েকজন ইয়াসে সিনেমা হলে।একটা সময় নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা সকলের
অজান্তেই প্রেমিক – প্রেমিকাদের উৎসাহ যোগাতে নির্জন জায়গায় টানা তিন ঘন্টা
নিরিবিলি তে প্রেমিক যুগল সিনেমা দেখার জন্য বক্সের ভাড়া ছিল আকাশ ছোঁয়া ।এইভাবে
লোকসান ঠেকাচ্ছিলেন হল কর্তৃপক্ষরা। কিন্তু সেখানেও বাধা দিল পুলিশ । ইতিমধ্যে
বিভিন্ন সিনেমা হল গুলির ওইসব বক্সে রেট করে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে অনেক
প্রেমিক প্রেমিকাও।  সব মিলেয়ে বর্তমানে
সিনেমা হল গুলি এখন ধুঁকছে


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *