January 11, 2025

রায়গঞ্জে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইলাল আগরওয়াল হওয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি অরিন্দম সরকার

1 min read

রায়গঞ্জে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইলাল আগরওয়াল হওয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি অরিন্দম সরকার

তনময় চক্রবর্তী রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস যাকে প্রার্থী করল জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল কে তিনি রায়গঞ্জে কর্মীদের বলেছিলেন তিনি রায়গঞ্জের দাঁড়াবেন না অথচ আজ তিনি রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে গেলেন। এজন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণার পর এমন মন্তব্য করলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার উপ পৌর পতি তথা আই এন টিটি ইউ সি র জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন কানাইলাল আগরওয়াল কে নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে কতটা গ্রহন যোগ্য করে তোলা যাবে সে বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে কর্মীদের মধ্যেই। তিনি বলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন কানাইলাল আগরওয়াল এটা তাদের কাছে কোন বিষয় নয়। উনাকে টিকিট দিয়েছে। উনি লড়বেন। অরিন্দম বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উনি যদি এখানে দাঁড়াতে চাইত। দীর্ঘদিন ধরে উনার সাথে তাদের কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু উনি বারবার বলেছেন রায়গঞ্জ থেকে তিনি দাঁড়াবেন না। তিনি ইসলামপুর থেকে বাড়াতে চান।

সে ক্ষেত্রে কানাইলাল আগরওয়াল রায়গঞ্জে কোন কাজ করেননি, উনি এখানকার মানুষের পাশে থাকেন নি সেই জন্য আজকের দিনে মানুষের কাছে তুলে ধরা এই মুহূর্তে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস একটা বিপদজনক জায়গায় পরল। অরিন্দম বাবু বলেন তার কোন পদের লোভ নেই। দলকে ভালোবেসে দলের প্রতিটি কর্মীদের সঙ্গে তিনিও প্রতি মুহূর্তে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গিয়েছেন। কখনো বন্যাতে কখনো বা আবার করোনা সংকট মোকাবেলায় কখনো আবার আনন্দ উৎসবে। তাই কর্মীদের ভাবাবেগ আমার উপর ছিল। তিনি বলেন দুঃখটা সেই জায়গায় যে সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত আজ তাদের লড়াইয়ের কোন দাম পেল না। তাই এই মুহূর্তে তাদের চোখের জল পরছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে তাকেও এখন চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে আগামী দিনে কি করবেন তিনি। অরিন্দম বাবু বরেন আজকের দিনে সেই সমস্ত কর্মীদের দুঃখের কথা তার কাছে সবচেয়ে বড় নাড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন তার কাছে পদ কোনো বড় কথা নয় । এর আগেও রায়গঞ্জ পৌরসভার বেশিরভাগ কমিশনার তাকে সাপোর্ট দেওয়া সত্ত্বেও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী থেকে তিনি নিজে সরে দাঁড়ান। এরপরেও তিনি আপ্রাণ দলের একজন সৈনিক হয় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ দল সেটার কোনো মূল্য দিতে পারল না। তিনি বলেন দল যদি আগে বলে দিত এখানে কে প্রার্থী হচ্ছেন তাহলে হয়তো তাকে জিতিয়ে আনতে তাদের সুবিধা হত। আজকের দিনে হঠাৎ করে একজনকে প্রার্থী করে দিল দল। যার কোন রায়গঞ্জের বুকে অবদান নেই। তিনি ইসলামপুরে মূলত কাজ করতেন। তিনি দলের সভাপতি ও বটে। কিন্তু এরপরেও দলের সভাপতি হয়ে তিনি যখন তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিত সেই সময় তিনি বলতেন তিনি এখান থেকে দাঁড়াবেন না। তারপরে যখন তিনি দাঁড়াচ্ছেন সে ক্ষেত্রে উনাকে নিয়ে মানুষের কাছে গিয়ে কতটা গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে সে নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *