October 24, 2024

কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার গ্রামবাসীর ভরসা একমাত্র পুকুরের জলই

1 min read




তন্ময়  চক্রবত্তী ঃভারতের এমনও অনেক জায়গা আছে অনেক গ্রাম আছে যারা আজ নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে আছেসমস্যার পাহাড়ে ঘেরা যে গ্রামগুলোর 
দুঃস্বপ্ন মেটাবার কেউ নেইশুধু মাত্র ভোটের সময় নেতা মন্ত্রীদের আনাগোনা থাকে এই গ্রামগুলোতেথাকে তাদের বুকভরা আশ্বাস প্রতিশ্রুতিযেই ভোট চলে যায়

তারপর যেইকার সেই সমস্যার অন্ধকারে থাকতে হয় তাদেরজানেন কি কেউ এখনো এমন কিছু 
গ্রাম 
রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার যেখানকার হাজার হাজার মানুষরা তাদের গ্রামে বেঁচে থাকার জন্য সামান্য পরিশ্রুত পানীয় জল পান নাবাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের সংসারের যাবতীয় কাজকর্ম সারতে হয় নোংরা আবর্জনায় ভরা ডোবার জল দিয়ে




কখনো কখনো আবার তারা বাধ্য হয়ে সেই ডোবার জল কে  
পানীয় 
জল ভেবে পান করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরেকারন একটাই সরকারের দেওয়া পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের যে পানিয়জল সরবরাহের পাইপ রয়েছে তা বছরের পর বছর ধরে খারাপ হয়ে রয়েছেশুধু তাই না


যে পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে পাইপ রয়েছে সেই পাইপ ফেটে যাওয়ায় সেই পাইপ দিয়ে বিষধর সাপের আনা গোনা হয় তাই বাধ্য হয়ে ভয়েই এই জল পান করা ছেড়ে দিয়েছে গ্রামবাসীরাএখন তাই গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ডোবার জলফলে সেই খারাপ জল পান করার পরে গ্রামবাসীদের 
প্রায়শই হরেক রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেকিন্তু কিছু করার নেই


                                              ছবি শঙ্কর গুপ্তা

কারন জলের আর একনাম জীবনআর তাই জীবনের তাগিদেই একমাত্র ভরসা এখন ডোবার জলহ্যা আমি যে গ্রামের কথা বলছি সেটা উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের 
দিলাল পুরের 
ঝিকরাপাড়া,খারী পাড়া, দেবত্বর পাড়া, আদিবাসিপাড়া, মন্ডলপাড়া,বাইন পাড়া, সরকার পাড়া, সর্ধ্যার পাড়া, জান তলা বাসীনতলা 




                            ছবি তুফান মহন্ত

এই এগারোটি সহ আরো বেশ কিছু গ্রামের এখন বাস্তব চিত্র এটাইদিলালপুরের ঝিকরা পাড়ার বাসিন্দা কমল সরকার,সুসেন দেবশর্মা,ভস্ট রায়,আটো দেবশর্মা,শ্রীমতি সরকার, যামিনী দেবশর্মা,মমতা দেবশর্মা জানান,তারা বছরের পর বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছে অথচ সরকারি আধিকারিকরা জনপ্রতিনিধিরা তাদের গ্রামের এই জ্বলন্ত সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেন নি আজ অব্দি


                                              ছবি শঙ্কর গুপ্তা

অথচ প্রতিবার 
নিবার্চনের সময় দেখা যায় প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে সব রাজনীতি দলের সদস্যরাই এখানে এসে কথা দেয় তাদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারেঅথচ ভোট গেলেই আবার তোমার দেখা নেইগ্রামবাসীরা জানান তাদের এখন নামে মাত্র জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে পানীয় জলের ব্যাবস্থা আছে কিন্তু বাস্তবে তা না থাকার সমানকারন যে পাইপ লাইন দিয়ে জল সরবরাহ হয় তা বহুদিন ধরে খারাপ হয়ে আছে


গ্রামবাসীদের ভরসা একমাত্র পুকুরের জলই  

যে জল সরবরাহ হয় তা খাওয়ার অযোগ্যএছাড়া এই পাইপলাইনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝেই সেই পাইপ লাইন দিয়ে বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসেফলে সাপের ভয়ে সেই জল ছুঁয়েও দেখেন না গ্রামবাসীরাবাধ্য হয়ে বাড়ির পাশে কোন ডোবা কিংবা পুকুরে গিয়ে পানীয় জল 
 
সংসারের কাজকর্মের জন্য নিয়ে আসতে বাধ্য হয় তারা

জেলা পরিষদের  সদস্য দধি মোহন দেবশর্মা 


গ্রামবাসীরা
আরো জানান পুকুরের জল নোংরা বিষাক্ত হলেও তাদের নিরুপায় হয়ে সেই জল নিয়ে 
আসতে হয়ফলে গ্রামে প্রায়শই অসুখ বিসুখ 
লেগেই থাকেঅন্য দিকে এই গ্রামগুলির উপর দিয়ে যে রাস্তা গুলি গেছে তার হাল যা তা রাস্তা না বলাই ভালোগ্রামবাসীরা আরো বলেন এই সমস্যা তাদের একদিন বা দুইদিনের না এই সমস্যা তাদের বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছেঅথচ তাদের দেখার কেউ নেইতাই তারা ভারতে বসবাস করে মনে করেন কোন নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে আছেকবে তাদের সমস্যার সমাধান হবে তারা কেউ বলতে পারবে নাঅবিলম্বে তাদের সমস্যার সমাধান যদি না হয় তাহলে আগামী লোকসভা ভোটে তারা এবার ভোট দিবেন কিনা তারা ভাববেনএদিকে তারা বলেন কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তাদের সমস্যার সমাধানের ব্যাপরে উদাসীনকবে তাদের সমস্যা সমাধান হয় এখন সেটাই তারা দেখছেনগ্রামবাসীরা জানান বহুদিন ধরে তারা পুকুরের নোংরা জল পান করে আসলেও এব্যাপারে কেউ দেখছে নাএদিকে জেলা পরিষদের 
তৃনমূলের জয়ী সদস্য দধি মোহন দেবশর্মা জানান,এই প্রথম তিনি বিষয়টি জানলেন এই গ্রামের সমস্যা আগামীদিনে যাতে গ্রামবাসীদের পানীয় জলের সমস্যা রাস্তাঘাটের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্তা নিবেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *