October 29, 2024

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হেরে গেলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ। পদত্যাগ করলেন সহ সভাপতির পদ থেকে। বিজেপি বলছে ফেঁসে গেছেন উনি তাই তিনি পদত্যাগ করলেন।

1 min read

বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হেরে গেলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ। পদত্যাগ করলেন সহ সভাপতির পদ থেকে। বিজেপি বলছে ফেঁসে গেছেন উনি তাই তিনি পদত্যাগ করলেন।

তনময় চক্রবর্তী  বিধানসভা নির্বাচনের আগেই হেরে গেলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ।  নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে  রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কার্যকলাপ এর মাত্রা ততই বেড়ে চলছে। প্রতিদিনই এক রাজনৈতিক দল অপর রাজনৈতিক দলকে টেক্কা দেওয়ার জন্য ময়দানে নেমে একে অপরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিছেন। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার আগেই প্রাথমিক রাউন্ডের হার স্বীকার করে নিলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ। তবে এই হার তার নিজের কাছে নিজের বিবেকের কাছে। কারণ বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই নাকি তিনি পঞ্চায়েত সমিতিতে খুব একটা সময় দিতে পারছিলেন না ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছিল। বহুদিন আগে তিনি কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দল নাকি করতে দেয়নি। কিন্তু আজ তিনি পদত্যাগ করলেন সহ সভাপতির পদ থেকে। আজ কালিয়াগঞ্জ এর শহর তৃণমূলের কার্যালয় বসে সাংবাদিকদের এমনই মন্তব্য করলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ। এদিকে সমালোচকদের মতে এর পিছনেও নাকি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের একটা হালকা ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।

বিশেষ সূত্রে জানা যায় পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির পদ আঁকড়ে রাখার ফলে তৃণমূলের অন্দরে কিছুদিন ধরে চলছিল চাপা ক্ষোভ দলের অন্দরে। কোন একজন নেতা সম্প্রতি এই প্রতিবেদককে মুখ ফসকে বলেই ফেলেছিলেন যদি কিছুদিনের মধ্যে বিধায়ক তার সহ সভাপতির পদ  না ছাড়ে  তাহলে তিনি আর দলের কোনো কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। কারণ একজন বিধায়কের অনেক বেশি সময় দিতে হয় গ্রামাঞ্চলে ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সমিতি চালানো তার পক্ষে খুবই অসুবিধা হয়ে পড়ে। তাই সেই গুরুত্বপূর্ণ পদ কি  করে তিনি এতদিন অবধি আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন। অবশেষে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কে মেটাতে নিজের কাছে হার স্বীকার করতে বাধ্য হলেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ।  তিনি বললেন একজন বিধায়কের প্রচুর কাজ থাকে তাই পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদে তিনি অনেকদিন ধরে কাজ করতে পারছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে সেই পদ টি ছাড়তে বাধ্য হলেন। দলের অন্দরে কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন যখন তিনি কাজ করতেই পারছিলেন না তখন এতদিন অব্দি সেই পদ টি কেন আগলে রেখেছিলেন । এদিকে আজ কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়কের সহ সভাপতির পদ ছাড়া প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন বিধায়কের অনেকদিন পর ঘুম ভাঙলো। অনেক আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

এখানকার লোকেরা বিধায়ককে ভোট দিয়েছিল, বিধায়ক এর কাজ   দেখতে চেয়েছিল । কিন্তু যে ব্যক্তি বিধায়ক হয়ে গিয়েছেন সে ব্যাক্তি এতদিন অব্দি কিভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ছিলেন। সেটা ভাবার বিষয়। বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এক ব্যক্তি এক পদ এমন কোন ভাবনা চিন্তায় নেই। কারণ দিদি অনেকগুলো পোস্ট সামলাচ্ছেন। আর অনেক জায়গাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক বিধায়ক, এমপি আছেন, পৌরপতি আছেন। এটা হয়ে আসছে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের পরম্পরা। আর এই পরম্পরাকে কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক বহাল রেখে ছিলেন। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক দাদারা হয়ত এখন বুঝতে পারছেন তাদের কোন পোস্ট নেই।  ডবল পোস্টে বিধায়ক আছেন। তাই পোষ্টের তো লড়াই আছে স্বাভাবিকভাবেই। পোস্টের লড়াইয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উনি পদত্যাগ করছেন। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন যে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ছিলেন বিধায়ক সেই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর স্বামী চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতি। কারণ সভানেত্রী তো বসেনই না। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন একজন বিধায়কের সামনে একজন সভানেত্রীর স্বামী চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতি অথচ বিধায়ক কোন বাধা দেননি। তাহলে প্রথম দুর্নীতি তো ওখানেই। তার  সহ সভাপতির পদ  আগেই ছাড়া উচিত ছিল। তাই বিধায়ক এখন ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে পদত্যাগ করলেন তড়িঘড়ি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *