কালিয়াগঞ্জের দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধামের শুভ উদ্বোধন করলেন পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল,প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে হাজির নেই বিধায়ক ও অসীম ঘোষ?
1 min readকালিয়াগঞ্জের দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধামের শুভ উদ্বোধন করলেন পৌর প্রসাশক কার্তিক পাল,প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দের কারনে হাজির নেই বিধায়ক তপন দেবসিংহ ও অসীম ঘোষ?
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ ৮ নভেম্বর:রবিবার কালিয়াগঞ্জের বহু প্রতীক দর্শনীয় দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধামের শুভ উদ্বোধন করলেন কালিযাগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল ফিতা কেটে।উদ্বোধন করলেন মহেন্দ্রগঞ্জ নাট মন্দির এলাকায় যেমন শ্রীকৃষ্ণের কালিয়াদমনের একটি মডেল সহ ফোয়ারা,তেমনি উদ্বোধন করলেন দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধামের চতুর্দিকে আলোক স্তম্ভের দর্শনীয় আলো।এ ছাড়াও পৌর প্রসাশক সবাইকে নিয়ে ফিতা কেটে দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধামের দর্শনীয় শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি সম্বলিত দুটি হৃদয় জুড়ানো তোরনের উদ্বোধন করেন।
সব মিলে আজকের দিনটি যেন কালিয়াগঞ্জ তথা মহেন্দ্রগঞ্জ বাসীর হৃদয়ে যেমন কার্তিক পালের নাম লিখা থাকবে ঠিক একই রকমভাবে ইতিহাসের পাতাতেওঁ বড় বড় অক্ষরে রূপকার কার্তিক পালের নাম লিখা থাকবে নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে।এই মহতি অনুষ্ঠানে ছিলেন পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য বসন্ত রায়,পৌর সভার নির্বাহী আধিকারিক আশুতোষ বিশ্বাস,বিদায়ী কমিশনার গ্যানেন্দ্র শংকর মজুমদার,মিলন বিশ্বকর্মা,শচীন সিংহ রায় অমিত দেবগুপ্ত,,শিল্পী সরকার,মঞ্জুরী দত্ত দাম বাবলু বিশ্বাস সহ অনেকেই।
কিন্তু কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক তপন দেবসিংহ,তৃণমূল নেতা তথা কো-মেন্টর অসীম ঘোষ,শহর তৃণমূল সভাপতি কমল ঘোষকে এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। আগে যেভাবে সবাইকে মঞ্চ আলোকিত করে বসে থাকতে দেখা যেত তা আর এখন দেখা যায়না।এটা যেন বিরল ঘটনা ঘটে চলেছে।
অধিকাংশ মানুষদের মুখে মুখে একই কথা আমাদের বিধায়ক কোথায়?তিনিতো তৃণমূলের শুধু বিধায়ক নয় আমাদেরও বিধায়ক।তার সরকারের অর্থে কালিয়াগঞ্জে এত উন্নয়ন হচ্ছে অথচ তাকে কোন একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যায়না কেন?তাহলে কি সবাইকে নিয়ে তার মিলেমিশে চলবার ক্ষমতা নেই?তাহলে আমরা কাকে ভোট দিয়েছি?যিনি নিজে কোন একটি কাজ করেতো দেখাতে পারছেনই না,আবার তার দলের পৌর প্রশাসকের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞেও তিনি হাজির থাকতে পারেন না।
যেখানে তাদের দলের মাধ্যমে শহরের এত উন্নয়ন হচ্ছে সেখানে বুক ফুলিয়ে তাদের সবার আসা উচিত। তা না করে দলের মধ্যে প্রতিদিন গোষ্ঠী কোন্দল আরো বেশি বেশি করেই চলেছেন কর্মীদের মনোবল নির্বাচনের।এর ফলে নির্বাচনের আগেই গোষ্ঠী কোন্দলের মাধ্যমে সমর্থকদের মনোবল ভেঙে দিয়ে তিনাড়া কি প্রশংসার কাজ করছেন?
সবারই একই প্রশ্ন কেন এই সমস্ত তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে শহরের কোন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ আলোকিত করে আর থাকতে দেখা যায়না?কিছুদিন আগেইতো সবাইকে প্রতিটি যেমন তেমন অনুষ্ঠানে মঞ্চ আলোকিত করে বসতে দেখে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম।তাহলে কি উপ নির্বাচনে জিতেই কালিয়াগঞ্জের মাটিতে তৃণমূলের বীজ বপন করা হল? সামনেই শাসক দলের মরন বাঁচন লড়াই।
কালিয়াগঞ্জের মত ছোট্ট শহরে যদি এত গোষ্ঠী কোন্দল জিইয়ে রেখে উন্নয়ন বাদ দিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্যেই তাদের সময় কাটিয়ে দেন তাহলে আসছে নির্বাচনে নেত্রীকে কি উপহার দেবেন একবারের জন্যও কি ভেবেছেন কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা।
কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে কি বিজেপিকে কালিয়াগঞ্জের আসনটি এবার ওয়াকভার দেবার কথা মনে মনে ঠিক করেই ফেলেছেন কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল নামক দলটি? কানাঘুষা সর্বত্রই। আলোচনা চলছে যেখানে সেখানে।বাদ নেই মহেন্দ্রগঞ্জের চায়ের দোকানেও। আজকের অনুষ্ঠানে আসা অনেককেই এসব নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেল।
তাদের বক্তব্য কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল দলের লড়াকু নেতা কার্তিক পাল যে ভাবে একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন এতো সবই তৃণমূল দলের প্লাস পয়েন্ট।তাহলে তাকে যারা সমর্থন করেনা বা তার উন্নয়নমূলক কাজকে সমর্থন করেনা তারা কি আদৌ তৃণমূল দলকে ভালো বাসেন এই প্রশ্ন কালিয়াগঞ্জের সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে।
একটু সময় করে কান পাতলেই বিভিন্ন মানুষের আলোচনা থেকেই তা শোনা যেতে পারে।এ ব্যাপারে পৌর প্রসাশক কার্তিক পালকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমাদের পৌর বোর্ডের কাজ আমাদের পৌর বোর্ডকেই করতে হবে।এসব ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই।তিনি বলেন আমরা তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জের নাগরিকদের অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলাম।সেই স্বপ্ন গুলোকে আসছে নির্বাচনের আগেই যদি পূরণ করতে পারি তাহলেই তৃণমূল দলের মুখ রক্ষা করতে পারবো বলে তিনি মনে করেন।কার্তিক পাল বলেন আমার কাজ আমাকেই করতে হবে। কে কি করলো সেসব দিকে নজর আর যাই হোক স্বপ্ন পূরণের দৌড়ে এগোতে পারবো কি?তবে সবারই একই কথা তৃণমূল দলের সবাই এলে আজকের অনুষ্ঠানটি আরো মনোমুগ্ধকর হতে পারত নাকি?