আজ শিবরাত্রি,,হুগলীর তারকেশ্বরে ভক্তের ঢল
1 min read
কথায় আছে দেকতাদের দেবতা বিশ্বের আদি পুরুষ ভগবান শিব। আশা আকাঙ্খা, কামনা,বাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে মহাদেবের শরণাপন্ন হন সকলেই। হিন্দু শিবপুরাণ মতে শিবের তিথি অর্থাৎ শিব চতুর্দশীর রাত্রে দেবাদীদেব মহাদেব সৃষ্টি,স্থিতি এবং প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন।মহা শিবরাত্রিতে পাপবিনাশ এবং মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন দেবাদিদেব । সেই কারণেই এই দিনটিতেই ভক্তরা চার প্রহরে চার বার পুজো দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন।সকাল থেকেই তারকেশ্বর শৈবতীর্থে ভক্তের ঢল নেমেছে। শিবরাত্রি উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তারকেশ্বর মন্দিরকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন,কথিত আছে পাণ্ডু পুত্র ভীম জঙ্গলে শিকার করতে গিয়ে রাত্রে ফিরে আসতে না পারায় জঙ্গলের একটি বেল গাছে আশ্রয় নেন। সেই গাছের নিচেই ছিল শিবলিঙ্গ। শিকার করা পশুর শরীর থেকে শিবলিঙ্গের উপর পড়েছিল জল এবং গাছ থেকে পড়েছিল বেলপাতা। তারপরই শিবলোক প্রাপ্ত হন ভীম। সেই থেকেই শিবরাত্রির মাহাত্ম ছড়িয়ে পড়ে হিন্দুদের মধ্যে।সাধারনত শ্রাবণ মাসে শ্রাবনী মেলা উপলক্ষে গোটা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় তারকেশ্বরে। মনস্কামনা পূরণে চৈত্র মাসেও শিবের মাথায় জল ঢালতে বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে নারী পুরুষ নির্বিশেষে পায়ে হেঁটে তারকেশ্বরে যান বহু ভক্ত। তবে শিব চতুর্দশীতে মহিলাদের ভির থাকে চোখে পরার মত। যেকোনো রকম অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতে ব্যাবস্থা করা হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});