October 25, 2024

নাটমন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই  নির্ধারিত জায়গাতেই বসবে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি। সমালোচকদের জবাব দিলেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল

1 min read

নাটমন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই  নির্ধারিত জায়গাতেই বসবে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি। সমালোচকদের জবাব দিলেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ৬,নভেম্বর: ফেসবুকের সমালোচক দের মুখে রীতিমত ঝামা ঘষে দিয়ে মহেন্দ্রগঞ্জের বিতর্কিত স্থানেই নাট মন্দিরের সৌন্দর্যয়নের স্বার্থেই নির্দিষ্ট স্থানে মূর্তি বসানোর সিধান্ত।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন মতামতের ব্যাপার নেই।এলাকার অধিকাংশ মানুষ নাট মন্দির কমিটির সম্পাদক দুলাল কুন্ডুকে একটি বেশ কিছু স্বাক্ষর সম্বলিত একটি মাস পিটিশন জমা দিয়েছেন নির্ধারিত স্থানেই মূর্তি বসানোর জন্য।কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা প্রশাসক বলেন, এটা সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নাটমন্দির কর্তৃপক্ষের। এটা পৌরসভার কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তাই নাট মন্দির কর্তৃপক্ষ যেখানে বলবে সেখানেই শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বসানো হবে।

এদিকে পৌর সভার পৌর প্রশাসককে এলাকার মানুষরা  তাদের মাস পিটিশনের আবেদন পত্রটি পাঠিয়ে দেবার ফলে অধিকাংশ মানুষের সমর্থনকে মান্যতা দিয়ে  মূর্তিটি বসানো হবে বলে পৌর প্রশাসক জানান।তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন আপনারা যে ভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভাকে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের স্বপক্ষে সহায়তা করে আসছেন আগামী দিনেও সেভাবে সহযোগিতা করে আসবেন।তাহলেই কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের কাজ  ত্বরান্বিত হতে পারে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল জানালেন শহরের মহেন্দ্রগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে নাট মন্দির চত্বরে যেখানে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে সেখানে শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বসানো হবে। যেখানে রঙিন আলোর কারসাজির মাধ্যমে ফোয়ারার ব্যবস্থা থাকবে।

আজ সকাল থেকে দেখা যায় যখন নাটমন্দির কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত জায়গাতে পৌরসভার উদ্যোগে যে নতুন শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি বসানো প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছিল সেই সময় কিছু সমালোচকরা তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করে দেয় যে শৌচালয়ের সামনে কোন দেবদেবীর মূর্তি বসানো একটা গুরুতর অপরাধ। এ নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।

এরপর সেই মূর্তি সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় পৌর কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এলাকার সাধারন মানুষরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে যে নাট মন্দির কর্তৃপক্ষ যে স্থানে শ্রী কৃষ্ণ মূর্তি বসানোর কাজ শুরু করছিল সেখানে যাতে পুনরায় এই মূর্তি প্রতিস্থাপন করা হয়। নিমেষের মধ্যে প্রচুর মানুষ একত্রিত হয়ে গণ স্বাক্ষর করে নষ্ট মন্দির কমিটির হাতে মাস পিটিশনের কপি জমা দেয়। পরবর্তীতে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল জানিয়ে দেন সাধারণ মানুষের দাবি মেনে নাট মন্দির কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিবে সেই সিদ্ধান্তই পৌরসভার মেনে নেবে।

অর্থাৎ নির্ধারিত জায়গাতেই আবারো বসতে চলছে সেই সৌন্দর্যায়নের নতুন ফলক শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি। যে মূর্তির চারিদিকে রঙিন আলোর কারসাজিতে ফোয়ারার মাধ্যমে ফুটে উঠবে নাট মন্দিরের নতুন চেহারা। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কালিয়াগঞ্জ শহরের দ্বিতীয় বৃন্দাবন ধাম এর কাজ শুরু হয়েছে। একদিকে যেমন বাউন্ডারি ওয়াল সম্পূর্ণ হয়েছে তেমনি বাউন্ডারি ওয়ালের পাশ দিয়ে লাগানো হয়েছে সুন্দর সুন্দর গাছ।

পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের হাঁটাচলা করার সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে ফুটপাত।তেমনি চোখ ধাঁধানো আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সব মিলে পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নতুন চেহারায় কালিয়াগঞ্জ বাসী পেতে চলেছে তাদের দ্বিতীয়বৃন্দাবন ধাম কে। যার দুয়ার আর কিছুদিনের মধ্যে উন্মুক্ত হতে চলছে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ দের উদ্দেশ্যে।

আর সেই কাজই চলছে এখন দ্রুতগতিতে। আজ সেই সৌন্দর্যায়ন এ নতুন ফলক শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি যখন বসানো হয় ঠিক তখন কিছু সমালোচকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্তের ছবি তুলে পোস্ট করে বলে যেখানে মূর্তি বসানো হচ্ছে সেটি ঠিক করা হচ্ছে না। কারণ মূর্তির পিছনে রয়েছে শৌচালয়। শৌচালয়ের সামনে কখনোই ভগবানের মূর্তি বসানো যেতে পারে না। আর যখনই এই নিয়ে বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ঠিক তখন পৌর প্রশাসক তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে সেই মূর্তি উঠিয়ে নেয়।

কিন্তু পরবর্তীতে আবার স্থানীয় মানুষরা সেই সমালোচকদের প্রতি তীব্র ধিক্কার জানিয়ে বলেন পৌর প্রশাসন যে উদ্যোগে আন্তরিকতার সাথে যে কাজ করছে তার সাধুবাদযোগ্য। শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি যেখানে বসছিল সেখানেই বসবে। এই দাবিতে যখন সোচ্চার স্থানীয় বাসিন্দারা তখন পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল তাদের দাবি মেনে পুনরায় প্রতিশ্রুতি দেন যেখানে বসেছিল শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি সেখানেই বসবে পুনরায়। কার্তিক বাবু বলেন নিন্দুকরা সবসময় সমালোচনা করবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই বৃন্দাবন ধাম সকলের কাছে যাতে প্রিয় হয়ে ওঠে তার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করছেন একটা নতুন কিছু করার জন্য।নেই মহেন্দ্রগঞ্জ এর নাট মন্দির কে ঘিরে। এদিকে আর যখন এই মূর্তি বসানো নিয়ে বিতর্ক দেখা হয়েছিল তখন দেখা গিয়েছিল বিজেপি কর্মীদের মধ্যেই দুটি ভাগে বিভক্ত হতে। কিছু বিজেপি কর্মীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *