নিয়মিত নজরদারির অভাবে ফের কালিয়াগঞ্জে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দাপট বেড়ে গিয়েছে
1 min readনিয়মিত নজরদারির অভাবে ফের কালিয়াগঞ্জে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দাপট বেড়ে গিয়েছে
তনময় চক্রবর্তী নিয়মিত নজরদারির অভাবে ফের কালিয়াগঞ্জে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দাপট বেড়ে গিয়েছে। পুজোর আগে এনিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা অভিযানও চালিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ সেসময় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের ক্ষেত্রে লাগাতার অভিযান জারি রাখার কথা বলেছিল। যদিও তারপর তাদের আর কোনও পদক্ষেপ নজরে পড়ছে না। তাই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের ক্ষেত্রে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও তাদের দাবি, পুজোর জন্য অভিযান সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে ফের অভিযান শুরু হবে।
প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধের ক্ষেত্রে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফের অভিযান শুরু করা হবে। আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান করা হয়েছিল। তারপরও এর ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারকারী ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই জরিমানা করা হবে। ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।করোনা আবহের মধ্যে কালিয়াগঞ্জে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। সব্জি থেকে শুরু করে মাছ মাংস কেনার সময় বিক্রেতারা দেদার প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ দিচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুজোর কয়েকদিন আগে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালায় পুর কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। সেদিনই স্পষ্ট করা হয় ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু তারপর পুরসভার কোনও হেলদোল নজরে পড়ছে না বলে অভিযোগ।সাধারন মানুষরা বলেন পুরসভা কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। তারা এই সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। তাই কোনও উদ্যোগ নেই। আসলে সবটাই ভোট ব্যাঙ্কের বিষয়। তাই সেভাবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরসভার এনিয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সমাজের স্বার্থে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার অতি দ্রুত বন্ধ করা প্রয়োজন