October 21, 2024

লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার জনমত মুখে কুলুপ আঁটা।

1 min read
জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা। আগামী ১৮ এপ্রিল ২০১৯ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা এবং দেওয়ালে দেওয়ালে রঙের বিচ্ছুরণে প্রস্ফুটিত হচ্ছে দলীয় প্রতীক সহ প্রার্থীদের নামসহ ভোটের প্রচার। এই লোকসভা আসনের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিশেষ করে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের রাজনৈতিক পর্যালোচনা ও ফলাফল নিয়ে ভোটদাতারা কেন জানি মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন আড্ডাস্থলে ঘুরে নানা জনের সাথে কথা বলে দেখা গেল এখনও অবধি নির্বাচনের রেশ তেমন ভাবে জাঁকিয়ে বসে নি। তথাপিও নির্বাচনের কথা পাতলেই সকলে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।

 কেন এই মুখে কুলুপ আঁটা সেটা আগামী দিন বলবে কিনা এই আগ্রহেই আজকের প্রতিবেদন। নির্বাচনের আগাম দিনগুলোতে বিভিন্ন ঠেকে ভোট নিয়ে একটা জল্পনার উত্তেজনা শুরু হয়ে যায় কিন্তু এখনও অবধি সেই জল্পনা কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তবে নিস্তব্ধতার পারদ বাড়ছে। সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বিজেপির সাংগঠনিক পর্যায়ের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে সংগঠনের কর্মী ও নেতৃত্বদের মধ্যে। তবে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার সর্বস্তরের ভোটারদের মধ্যে নিস্তব্ধতার ছায়া গ্রাস করছে এই নির্বাচনী ময়দান কে।

 তার মাঝেও কয়েকটি আড্ডা খানায় চলছে রায়গঞ্জে এইমস হাসপাতাল গড়ে না উঠার ইতি বৃত্তান্তর তর্ক যুক্তি। নির্বাচনের আগে ও পরবর্তী সময়ে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় আজও কালিয়াগঞ্জের মাটি নাকি কংগ্রেসের দূর্জয় ঘাঁটি। বাস্তব হলেও প্রমানিত হয়েছে ২০১৫ শেষ পৌরসভার নির্বাচনে। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ড কংগ্রেসের দখলে। সেই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে স্বল্প বিস্তর উন্নয়নের সাথে কালিয়াগঞ্জ পৌর নাগরিকরা কংগ্রেসের উপর ভরসা করে গেছেন। আবার ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পরিবর্তনের সরকার আসার পরেও এবং অনেক উন্নয়নের জোয়ার থাকলেও কালিয়াগঞ্জের পৌর নাগরিকরা কিন্তু কংগ্রেসের উপর ভরসা করেই ২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টি ওয়ার্ডেই কংগ্রেসের প্রার্থীদের জিতিয়ে কংগ্রেসের পৌর বোর্ড গঠন করতে ঝাঁপিয়ে ছিল।

 আজ সেই পৌর বোর্ড তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন, কারণ ১৫টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা সকলে একত্রিত হয়ে কংগ্রেস দল ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে। আর এই পৌর বোর্ড পরিবর্তনের সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নে এক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনেও কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনটি কিন্তু কংগ্রেসের দখলেই আছে এবং সেই বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিপুলসংখ্যক ভোটে লিড পেয়েছিল কংগ্রেস বিধায়ক। আজকের কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পৌর বোর্ডের বয়স হলো প্রায় দু’বছর। এই দুবছরে কালিয়াগঞ্জের পৌর এলাকার কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামোর ৭৫ শতাংশ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘড়ে , সেইসাথে আদি তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন। পুরোনো ও নব্য মিলিয়ে সাংগঠনিক শক্তি ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পৌর বোর্ডের বর্তমান উন্নয়নমূখী কার্যকলাপ ” এই মাটি কংগ্রেসের দূর্জয় ঘাঁটি ” এই তকমা কে কতখানি ছাপিয়ে যেতে পারে নাকি পারবে না নির্বাচনী ফলাফলে সেই দিনটির অপেক্ষায় মুখে কুলুপ আঁটা নাকি বাম বা রামের আভ্যন্তরীণ কানাঘুষায় নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখে মুখে কুলুপ আঁটা এ নিয়ে এক গভীর পর্যালোচনার বিষয় যা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে উৎকন্ঠায় সকল রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ভোটারদের কাছে বিভিন্ন সেন্টিমেন্ট ইস্যুগুলোর  মধ্যে কোন ইস্যুটি জাগ্রত হয়ে উঠে সেটা প্রকাশিত না হয় তার জন্যই কি বিভিন্ন আড্ডাস্থলে ভোটারদের মুখে কুলুপ আঁটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *