জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা।সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই পারদ চড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর, প্রার্থীদের। তবে সেই পারদ কিন্তু এখনো অবধি রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মধ্যে কোনো ছায়া ফেলতে পারে নি।
বলতে গেলে এই নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মধ্যে নিস্তব্ধতার ছায়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই নিস্তব্ধতার মধ্যেই কেন জানি লুকিয়ে আছে তুরুপের তাস। তবুও হাইটেক এই আসনের আগাম সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং একজিট পোল। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহারণের একজিট পোল সংক্রান্ত একটি কোম্পানি ও সংবাদ মিডিয়া গ্রুপ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী ফলাফলে একজিট পোলের নিরিখে আগাম সম্ভাব্য জয়ী দল হিসেবে বিজেপি কে তুলে ধরেছেন যাহা গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তারা সম্ভাব্য জয়ী দলের পক্ষে ৩১ শতাংশ ভোট পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু বর্তমানের কথা ই -পোর্টাল নিউজ মিডিয়ায় গত ২৫ মার্চের এক প্রতিবেদনে ভোট সমীক্ষায় বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল এবারের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে ৩১ শতাংশ ভোট যে পাবে সেই দল শেষ হাসি হাসবে এবং বিজেপির সাথে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে সেই সম্ভাব্য আগাম বার্তা প্রকাশিত হয়। গতকালের তথাকথিত কোম্পানির একজিট পোল বার্তা অনেকাংশেই বর্তমানের কথা সংবাদ মিডিয়ার নির্বাচনী সমীক্ষার কাছাকাছি। আর এই সমীক্ষা প্রকাশনার পরে কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কাল বৈশাখীর ঝড়ের মতো যদি এই সম্ভাব্য একজিট পোল ১৮ এপ্রিল ইভিএম মেশিনে আছড়ে পরে তবে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ডালখোলা, ইসলামপুর পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড তেমনি সকল পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড। সর্বত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়নের মাঝেও একজিট পোল নিরিখে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনিত প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে না থাকতে পারেন তাহলে এই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নেতৃত্বদের আগামী দিনে রাজ্য নেতৃত্ব দের সামনে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে সেই বিষয়ে দলের নীচুতলার কয়েকজন কর্মীরা যেমন বলছেন তেমনি অনেকেই বলছেন একজিট পোল টোল দিয়ে ভোট হয় না। মানুষ উন্নয়নের সাথে যেমন আছেন তেমনি উন্নয়নের পাশে থেকেই বিপুল ভোটে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়াল কে ভোটে জিতিয়ে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী কে এবারের নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন সেই বিষয়ে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নেতৃত্বরা মত প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে তারা বলেছেন কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ভোটারদের অধিকাংশই দল ছেড়ে চলে যায় নি , তারা আজও প্রয়াত নেতা প্রিয় রঞ্জন দাসমুন্সীর বিগত দিনের এলাকার উন্নয়নের সাথে জড়িয়ে আছেন। সকল নির্বাচনী এলাকা জুড়েই প্রয়াত নেতা প্রিয় দার প্রতি তাদের যে আনুগত্য সেটা প্রকাশ পাবে ইভিএম মেশিনে। আর রায়গঞ্জ পৌর এলাকার মানুষ দিন গুনছে শান্তিতে শৃঙ্খলায় নিজের ভোট নিজেই দিতে পারবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বরা। তারা বলেছেন যা বিগত রায়গঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে না পারার ঐতিহাসিক ঘটনার কথা। কংগ্রেস নেতৃত্বদের অনেকেই বলছেন তাদের একজিট পোলে দীপা দাসমুন্সী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। সিপিআইএম প্রার্থী সহ এলাকার বামফ্রন্ট নেতৃত্বরা বলছেন মহম্মদ সেলিমের মতো একজন সাংসদ তিনি যেভাবে এলাকার উন্নয়নের জন্য সাংসদ কোটার বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করেছেন এবং সংসদে সরব হয়েছেন তা এই নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা জানে। সুতরাং একজিট পোল নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সংগঠনের উপর ভরসা করেই ও ভোটারদের ভালোবাসা নিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনে গতবারের তুলনায় আরো বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। অপরদিকে বিজেপি নেতৃত্ব দের মধ্যে অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা যেভাবে তাদের আশীর্বাদ করছেন তাতে করে একজিট পোলের সম্ভাব্য ভোট পাওয়া শতাংশ কে ছাড়িয়ে যাবে যা একটা রেকর্ড নিয়ে দেবশ্রী চৌধুরী সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু একজিট পোল তো থাকবেই তবে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত একজিট পোল কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।