বন্যা দুর্গত রাধিকাপুর এর মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মানবিক কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক কাত্তিক চন্দ্র পাল
1 min readবন্যা দুর্গত রাধিকাপুর এর মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মানবিক কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক কাত্তিক চন্দ্র পাল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৯,সেপ্টেম্বর: বন্যা দুর্গত রাধিকাপুর এর মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মানবিক কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক কাত্তিক চন্দ্র পাল। যেখানে অসহায় মানুষ রা আর্তনাদ করছে সেখানেই তাকে দেখা গেল তাদের পাশে গিয়ে সহানুভূতি দিতে। এমনই ছবি দেখা গেল আজ রাধিকাপুর এর বিভিন্ন জায়গায়। টানা বৃষ্টির জেরে রাধিকাপুর টাঙ্গন নদীর জল কয়েকদিন ধরে হুহু করে বেড়ে চলেছে।
আর তাতে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল একদিকে যেমন নষ্ট হয়ে গিয়েছে তেমনি বহু মানুষ ঘর ছাড়া হয়ে গিয়েছে। তার একটি মাত্র কারণ নদীর জল তাদের বাড়িতে ঢুকে গিয়েছে। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে কালিয়াগঞ্জ এর পৌর প্রশাসক তিনি তড়িঘড়ি সেই স্থানে পৌঁছে গেলেন।মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর ডালিমগাঁ হয়ে রাধিকাপুরে যান কালিয়াগঞ্জের পুর প্রশাসক। শহর তৃনমূলের নেতা অমিত দেবগুপ্ত, অঞ্চল তৃণমূলের নেতা মহম্মদ ওয়াহবদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দেখেন রাধিকাপুরের জলবন্দি গ্রামের পরিস্থিতি।
গত কয়েকদিন ধরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদীর জল যে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছিল তা আজ কিছুটা হলেও কমেছে।রাধিকাপুর এলাকার মানুষদের মধ্যে কিছুটা হলেও আতঙ্কের ভাবটা কেটে গেছে।নুতন করে আর কোন গ্রামে টাঙ্গন নদীর জল ঢোকেনি বলে মঙ্গলবার জানালেন রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্রম সরকার।বিক্রমবাবু বলেন মোট ২০০জন জলবন্দিদের আমরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছি নৌকার মাধ্যমে।।দুর্গতদের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মোট ৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
কিছু জলবন্দি মানুষদের উদ্ধার করে রাধিকাপুরের খোলতোড়ে বি এস এফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদের থাকার ও খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাধিকাপুরের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুকুল চক্রবর্তী জানান রাধিকাপুরের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিক্রম সরকার যথেষ্ট তৎপরতার সাথে অত্যন্ত দুর্গম এলাকা থেকে জলবন্দি মানুষদের উদ্ধার করেছেন বলে জানান।মুকুল বাবু জানান বর্তমানে বৃষ্টি না থাকায় ভয়ের আর কোন কারন নেই।
এদিকে আজ কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল রাধিকাপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে উদ্ধার হওয়া জলবন্দিদের সাথে কথা বলেন।
তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন।তিনি উদগ্রাম মন্দিরে গিয়ে মন্দিরের সবার সাথে কথা বলেন ও মায়ের মন্দির দর্শন করেন।এদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, এখনও যা পরিস্থিতি রয়েছে তা খুবই ভয়াবহ। প্রচুর মানুষ রয়েছে তারা একটু সাহায্যের জন্য তাকিয়ে রয়েছে।এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে তাদের আশ্বাস দেন তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসন যাতে ঠিকঠাকভাবে বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলিবন্টন করে তার ব্যবস্থা করবেন।