November 21, 2024

দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহন নিরাপত্তার আশায় শুরু হচ্ছে আগামীকাল।

1 min read
তন্ময় চক্রবর্তী ,জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা।সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ১১মে  প্রথম দফা নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আগামীকাল ১৮ মে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। রায়গঞ্জ, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের নির্বাচন। এক উৎসব আমেজে সকাল থেকেই শুরু হবে এই তিন লোকসভা আসনের প্রতিটি ভোটগ্রহন কেন্দ্রে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রায় প্রতিদিনই কালবৈশাখীর তান্ডব। আগামীকালের আবহাওয়া যাতে ভালো থাকে সেই বিষয়ে সকল ভোটাররা যেমন আশাবাদী তেমনি প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলোর এমনকি যারা ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছেন সেই সকল ভোট কর্মীদেরও।

 কিন্তু আবহাওয়া ভালো থাকবে কি থাকবে না সেতো প্রকৃতির হাত কিন্তু এবারের সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নিরাপত্তার প্রশ্নে চারিদিকে প্রশাসন কর্তৃক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট গ্রহন করবার আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা নিয়ে এক উদ্বিগ্ন নিয়েই শুরু হতে চলেছে আগামীকালের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। তবে ইতিমধ্যেই প্রতিটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছে ভোট কর্মীরা।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


 বাড়ি থেকে সকাল সকাল বেড়িয়ে অল্প কিছু খেয়ে  কোনরকমে তড়িঘড়ি করে ভোটের জন্য যাবতীয় পেপার্স ও ইভিএম মেশিন নিয়ে  পৌঁছেছেন বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ও ভোট কর্মীরা। সাথে পুলিশ বাহিনী। কোথাও সেন্ট্রাল পুলিশ বাহীনি সাথে রাজ্যের পুলিশ বা কোথাও শুধু রাজ্যের পুলিশ বাহিনী। তবে আজকেই রায়গঞ্জ লোকসভা নির্বাচনী এলাকার রায়গঞ্জ ব্লকের আব্দুলঘাটা এবং ছত্রপুর এলাকার  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এখনও অবধি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রটিতে ভোট কর্মীদের ঢুকতে দেয় নি। 

এই নিয়ে ভোট কর্মীদের সাথে এবং পুলিশের সাথে এলাকার মানুষের বচসার সৃষ্টি হয়। তার কারন সেন্ট্রাল পুলিশ বাহীনি ছাড়া এলাকার মানুষ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কাউকে প্রবেশ করতে দিবেনা। এলাকার মানুষের বক্তব্য ভোট হবে তবে রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে নয় অর্থাৎ বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে এ ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে যেভাবে এলাকায় গন্ডগোল, বুথ জ্যাম এবং বোমাবাজি হয়েছে তাতে করে এক আতঙ্কের মধ্যে সকলকে থাকতে হয়েছিল। আর সেই আতঙ্কের পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সেন্ট্রাল পুলিশ বাহিনী ছাড়া কোনো ভোট নেওয়া হবে না এবং ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোট কর্মীদের প্রবেশ করতে দিবেনা এই নিয়ে এলাকার মানুষের জোড়ালো আন্দোলনের সামনে পরেছেন ভোট কর্মীরা এবং পুলিশ প্রশাসন।  GSST স্কুলের 35/185 নং বুথ। এলাকার মানুষের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবীতে অনড় থাকা কালীন সেই সময়ে উক্ত স্থানে  খবর পেয়ে পৌঁছে যান কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ চন্দন সিং বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে। রীতিমতো এলাকার মানুষ পুলিশের অফিসারের সাথে আঙুল তুলে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। তারা বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোথায় ছিলেন রাজ্য পুলিশ বাহিনী যারা এলাকার নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এহেন পরিস্থিতিতে বিশাল কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং তাদের মধ্যস্থতায় ভোট কর্মীরা এবং রাজ্য পুলিশ ঐ ভোট গ্রহণ কেন্দ্র দুটিতে প্রবেশ করেন। এই উত্তেজনায় একটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জ্যোতিন্দ্রনাথ মন্ডল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় প্রশাসন। এখনও অবধি এলাকার মানুষেরা  ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সকলেই একজোট হয়েছেন নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে। তবে আগামীকালের দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শুরু হচ্ছে ঠিকই কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নর মধ্যে। আর এই উদ্বিগ্নতার নিরষন আগামীকাল কিভাবে ঘুচবে সেটা নির্বাচন কমিশন সহ প্রশাসনের এক গুরু দ্বায়িত্ব।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *