মদ্যপ অবস্থায় মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে মাথায় বাঁশ দিয়ে মেরে খুন করল স্বামী
1 min readমদ্যপ অবস্থায় মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে মাথায় বাঁশ দিয়ে মেরে খুন করল স্বামী
মদ্যপ অবস্থায় মেয়ের সামনেই স্ত্রীকে মাথায় বাঁশ দিয়ে মেরে খুন করল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের খাসপুকুর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মৃতা গৃহবধূর নাম কামনা শিকদার ( ৩০) । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে আত্মীয় পরিজন সকলেই জানান প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপান করে এসে স্ত্রীকে মারধর করত সুজন শিকদার।
এনিয়ে বাড়িতে চরম অশান্তি লেগেই থাকত। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বরুয়ার নোয়াপাড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী সুজন শিকদার।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপান করে এসে বাড়িতে চরম অশান্তি করে রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ক্ষৌরকার সুজন শিকদার। স্ত্রী বাধা দিতে গেলে প্রায়শই স্ত্রী কামনা শিকদারকে মারধর করত। আজ বেলা বারোটা নাগাদ কাজ থেকে ফিরে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর কাছে ভাত খেতে চায় সে। স্ত্রী কামনাও সেসময় অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি তাঁর স্বামীকে একটু অপেক্ষা করতে বললেই রেগে যায় সুজন। বাড়িতে থাকা পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী বড় মেয়ে অনামিকা বাবাকে খেতে দিতে চাইলে মানা করে দেন এবং বাঁশ নিয়ে স্ত্রী কামনার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কামনা দেবী। কিছুক্ষনের মধ্যেই বাড়ির উঠোনেই মেয়ের চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মা কামনা শিকদার। চোখের সামনে এভাবে বাবা তার মাকে মেরে ফেলায় বাকরুদ্ধ হতভম্ব হয়ে পড়ে কিশোরী অনামিকা। মেয়ের চিৎকার ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার পরই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী সুজন শিকদার। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।