মরুয়াডাঙ্গী গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পে নার্সারি তৈরীর মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রামের মহিলারা
1 min readমরুয়াডাঙ্গী গ্রামে একশো দিনের প্রকল্পে নার্সারি তৈরীর মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছে গ্রামের মহিলারা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৭,সেপ্টেম্বর: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৮নম্বর মুস্তাফানগর অঞ্চলের মরুয়াডাঙ্গী গ্রামে করোনা আবহে একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে নার্সারি তৈরি করে গ্রামের দুস্থ্য মহিলারা স্বনির্ভর হতে চলেছে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের উদ্দ্যোগে মরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নার্সারি পরিচালিত হচ্ছে ঐ গ্রামের দুস্থ মহিলাদের মাধ্যমেই।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিডিও প্রসূন ধারা বলেন মহিলারা যেকোন কাজ অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে করে থাকে।এই নার্সারির কাজেও তারা ভালই কাজ করে স্বনির্ভর হতে চলেছে বলে জানান।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পরিমল দাস বলেন মরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের গাছের বীজ বপন করা হয়েছিল।বর্তমানে বীজ থেকে গাছ বেরিয়ে পড়েছে।এই গাছ গুলি একটু একটু করে বড় হচ্ছে।নার্সারির এই গাছগুলি সব সময়ের জন্য পরিচর্যায় আছে গ্রামের দুস্থ্য মহিলারা।
মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সহায়ক মনীশ সরকার জানান পূর্বে বৃক্ষ রোপনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাইরে থেকে গাছ কিনে এনে পঞ্চায়েতে পাঠানো হত।বর্তমানে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে নার্সারীর মাধ্যমে গাছ তৈরি করে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠিয়ে থাকি বিনা মূল্যে।
তিনি বলেন যে সমস্ত মহিলারা এই নার্সারীর পরিচর্যার কাজের সাথে যুক্ত তারা প্রতিদিন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২০৪ টাকা করে মজুরি পেয়ে থাকে।গ্রামের মহিলারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছগুলির পরিচর্যা সহ বড় করছে তাদের পুত্র স্নেহে।গ্রামের নার্সারিতে যুক্ত জনৈক মহিলা বলেন একশো দিনের কাজ পাচ্ছি বলেই সংসার চালাতে পারছি।করোনার সাথে লকডাউনের কারনে আমরা গরিব মানুষেরা মরে যেতাম। ১০০ দিনের কাজ তাদের বাচিয়েছে।এই কাজের মাধ্যমে তারা আর্থিক দিক দিয়েও স্বনির্ভর হচ্ছে বলে জানান। খবর নিয়ে জানা যায় এই নার্সারীর কাজ সাধারণত এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত চলে থাকে।