পরিযায়ী পাখিদের যত্ন নিচ্ছে উজ্জ্বলা।দিশারী সংকল্পের তত্ত্বাবধান
1 min readপরিযায়ী পাখিদের যত্ন নিচ্ছে উজ্জ্বলা।দিশারী সংকল্পের তত্ত্বাবধান
তপন চক্রবর্তী: গত পাঁচ সেপ্টেম্বর থেকে এই ঘটনা জানার পর থেকে বিষয়টা তত্ত্বাবধান করছে শহরের পরিবেশপ্রেমী সংস্থা দিশারী সংকল্প।পরিযায়ী পাখির ছানাদের নিজের বাড়িতে সন্তান দের মতো যত্ন করছেন এক গৃহবধু।এমনটা আগে শোনা যায়নি।এমনি পাখি পোষ মানার ঘটনা আমাদের সামনে আসে তাই বলে পরিযায়ী পাখি? বালুরঘাট শহরের দিপালী নগরের দাস পরিবারের উজ্বলা দাস।বাড়ির পিছনে হঠাৎ হাঁসের ডাকের মতো কিছু শুনে স্বামী সহ দেখতে যান। তারপর দেখে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগের ছানা। কিন্ত এটা তো হাঁস নয়।
পরে জানা যায় যে এটা পরিযায়ী পাখি লেসার হুইসলিং ডাক বা সরালের ছানা। তারপর থেকে এদের সন্তান স্নেহে যত্ন করছেন উজ্জ্বলা।নিয়ম করে সকালে ছাদে একটু ছেড়ে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই থাকা যাতে কাক বিরক্ত করতে বা ধরতে না পারে,মুড়ি নরম করে মেখে খেতে দেওয়া, পরের দিকে একটু ভাত চটকে দেওয়া। সকাল হলে ওদের মা বাবাও আসছে বাড়ির ছাদে ।
ডাকে- ছানারাও সাড়া দেয়। তারপর ছাদেই একটু ছানা দের নিয়ে ঘোরে ওরা।মা- বাবা নিজেদের খাবারের খোঁজে চলে গেলে তারপর শুরু হয় ওদের খাবারের পর্ব।উজ্জলা দাস জানান, আমার মায়া হয়ে গিয়েছে ওদের উপর।অনেকে জানতে পেরে গুলতি দিয়ে বা লাঠি নিয়ে আসে। কিন্ত আমি ওদেরকে প্রতিহত করি।প্রয়োজনে কড়া কথা শোনাই।এই বাচ্চাদের তো বাঁচাতে হবে।এই কাজে স্বামী চম্পক দাসও সবসময় সাহায্য করছে।দিশারী সংকল্পের থেকে প্রতিদিন খোঁজ নেয়- বলেছে যাবতীয় সহযোগিতা করবে।এ প্রসঙ্গে দিশারী সংকল্পের পক্ষে সম্পাদক তুহিন শুভ্র মন্ডল জানান, আমাদেরই সদস্য সত্যজিত মজুমদার বিষয়টা প্রথমে জানায়।তারপর থেকে নিয়ম করে যাচ্ছি।ওগুলো বালিহাঁস নয় ,লেসার হুইসলিং ডাক বা ছোট সরালের ছানা।এই ঘটনা অভূতপূর্ব।মানুষ পরিযায়ী পাখিদের ছানা দের সন্তান স্নেহে বড় করছে এমন ঘটনা শুনিনি।আমরা ওই পরিবারের সাথে সবসময়ই আছি।যোগাযোগও রাখছি। প্রকৃতির অন্য সন্তানদের প্রতি এই ভালবাসা যাতে থাকে এই কথাই তো আমরা বারবার বলি।একই সাথে বিষয়টা নিয়ে বনবিভাগের সাথেও যোগাযোগ করেছি।প্রকৃতির অন্য সন্তানদের সঙ্গে অনেক সময়ই মানুষের সংঘাতের খবর পাই। সেই জায়গায় এই ঘটনা নি:সন্দেহে উদাহরণযোগ্য।