October 27, 2024

করোনা আবহে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল কে সংযত হওয়া উচিত,মানুষকে বাঁচাও আগে পরে ভোট।

1 min read

করোনা আবহে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল কে সংযত হওয়া উচিত,মানুষকে বাঁচাও আগে  ,পরে ভোট।

তনময় চক্রবর্তী করোনা আবহে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল কে সংযত হওয়া উচিত।কারন যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি এই সময় তাদের দলের কর্মীদের নিয়ে কখনো বিক্ষোভ সমাবেশ কখনো ডেপুটেশন কখনো মিছিল করছে কখনো দলবদলের খেলায় মেতে উঠছে তাতে মনে হচ্ছে করোনা বিদায় নিয়েছে। এই সময় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংযত হয়ে চলার কথা। কিন্তু সেই সংযত হওয়া কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদারসে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে একে অপরকে দেখাচ্ছে হাম কিসিসে কম নেহি।

কিন্তু করণা আবহে এমনটা করা মোটেই সমুচিন নয়। কিন্তু ভোট বড় বালাই। সামনে বিধানসভা নির্বাচন । এই সময় আমাদের ক্ষমতা দখল করতে হবে।তাই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল করোনাকে তোয়াক্কা না করে যে দলীয়  কর্মসূচি গুলি গ্রহণ করে চলছে একের পর এক। সেখানে বাদ  যাছে না শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী থেকে বিরোধী দলের নেতারাও। তারা মুখে বলছে সবাই সামাজিক বিধি মেনে চলুন, মুখে মাক্স লাগানো, বারে বারে হাত ধুবেন।কিন্তু এই তিনটি সর্তকতা কোন  দলের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না তাদের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচির মধ্যে। নাকি সেগুলো দেখেও না দেখার ভান করছেন এই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে।? একদিন দুদিন লকডাউন করে করোনা কে কি আটকানো যাবে।

তাহলে লকডাউনের কিসের দরকার। এক দিন বন্ধ তো পরের দিন হাজার হাজার কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ মিছিল-মিটিং চলছেই অনবরত। এখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেরই মুখে মাক্স নেই। শুধু তাই নয় সামাজিক বিধি ও তারা লঙ্ঘন করছেন।সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এই সময়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলগুলোকে বর্তমান সঙ্কটের মোকাবেলা করা উচিত কঠোর ভাবে। এত লোকের সমাগম করে বিক্ষোভ মিছিল মিটিং করা কি খুব জরুরী।

 

না হলে তারা এমন করছেন কেন। মুখ্যমন্ত্রী তো বারেবারে বলছেন করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমন রুখতে নানান রকম বিধি-নিষেধ গুলো পালন করতে।  কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সার। তার দলের লিচুতলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত কোনো নেতাই যখন মানছেন না দলের সুপ্রিমো র কথা তখন বিরোধী দল কিভাবে মারবেন।

 মিটিং-মিছিল বিক্ষোভ ডেপুটেশন চলছে জেলার কোন কোন ব্লকে প্রায় প্রতিদিনই। এর ফলে সাধারণ মানুষরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। করণা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও করণা আর বাড়বেনা সেই গ্যারান্টি কে দেবে। তাই এখনই সময় এসেছে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হয়ে এগিয়ে আসা। তাদের একটাই এখন শ্লোগান হওয়া উচিত আগে মানুষকে বাঁচাও আগে পরে ভোট।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *