October 21, 2024

নির্বাচনী প্রচারের মাঝে ভোটের দিন নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কের সংশয় সর্বত্র।

1 min read

জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা। সপ্তদশ জাতীয় নির্বাচন অর্থাৎ ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দিন প্রকাশিত করেছে ভারতের মূখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। আর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী হোলি উৎসব। হোলি উৎসব এই অর্থে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রং বেরঙের দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে ফ্লেক্স ফেস্টুন এবং ফ্লাগে চারিদিক ভরিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি লোকসভা আসনের সাথে ৫ নং রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি নির্বাচনী রঙে ইতিমধ্যে চারিদিক রাঙিয়ে তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো এবং প্রচারের জৌলুসে ভোটাররা আকৃষ্ট হলেও রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের সর্বত্র একটি আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সাধারণ ভোটারদের থেকে ভোট কর্মীদের মধ্যে।
 আর এই আতঙ্কের সুত্রপাত কিন্তু সদ্য হয়ে যাওয়া ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন কে ঘিরে। আজও ভোট কর্মী রায়গঞ্জের রাজকুমার রায়ের হত্যার ঘটনা যেমন আছে তেমনি নিজের ভোট নিজে না দিতে পারার তিক্ত ভয়ানক আতঙ্কগ্রস্ত অভিজ্ঞতা, বুথ দখল হয়ে যাওয়া, ছাপ্পা ভোট,   রিভলবার হাতে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধী তকমায় রাজনৈতিক কর্মীদের দাপিয়ে বেড়ানো সহ একাধিক আতঙ্ক এখনো টাটকা হয়ে আছে সাধারণ ভোটারদের সাথে ভোট কর্মীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী দের নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে ভোট প্রচার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেছে কিন্তু ভোট ময়দানে প্রচারের সেই জৌলুস ভোটারদের কাছে আঁটোসাঁটো ভাবে গুটিয়ে আছে ঐ আতঙ্কের স্মৃতিতে। 
সাত দফার নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের দিন আগামী ১৮ এপ্রিল। ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সশস্ত্র সেন্ট্রাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে ও তাদের কে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করিয়ে ঐ আতঙ্কের বেড়াজাল কে ভাঙ্গতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারসাথে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক  জেলা পুলিশের সাথে বারংবার মিটিং করছেন নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু এখনও অবধি রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের বুথ ভিত্তিক নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত পরিমাণ সশস্ত্র সেন্ট্রাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায় নি। রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের সর্বত্র সাধারণ ভোটাররা চাইছেন ব্যাপক পরিমাণে সশস্ত্র সেন্ট্রাল পুলিশ বাহীনি এখন থেকেই সর্বত্র মোতায়েন করা হোক এবং নির্বাচনের দিন প্রতিটি বুথ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় থাকুক। কোনো মৃত্যু এবং দুর্ঘটনা কাম্য নয় নির্বাচন কে ঘিরে বলছেন সাধারণ ভোটাররা এবং তাদের পরিবারের মানুষজন। যে পরিবারে এমন দুর্ঘটনা নেমে আসে তারাই একমাত্র উপলব্ধি করতে পারে।  ইতিমধ্যে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক উদ্দ্যোগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে বিশেষ করে নিরাপত্তা নিয়ে আরো বেশি সক্রিয়তার প্রশ্ন তুলেছেন রায়গঞ্জ লোকসভা আসনের নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের ভোটাররা। আর এর মাঝে লুকিয়ে আছে সাধারণ ভোটার, ভোট কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের মানুষজনের আতঙ্কের প্রশ্ন । প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ভোট প্রচারে ঝাঁপিয়ে পরেছেন তাদের দলীয় কর্মী নেতাদের নিয়ে এবং প্রচারে যে জৌলুস তারা জমাতে চাইছেন তার মধ্যে উঁকি মারছে  ভোটারদের আতঙ্ক। আর এই আতঙ্ক গ্রাস করছে নির্বাচনী প্রচারের জৌলুস কে, তারজন্য কিন্তু চারিদিকে একটা নিস্তব্ধতার ছায়া। ভোটারদের মনে এই আতঙ্ক কে রাজনৈতিক দলগুলো কতখানি নিরাপত্তা দিতে পারবে সেই বিষয়ে ভোটাররা চিন্তিত না হলেও জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের মাধ্যমে কঠোর  নিরাপত্তার সুনিশ্চিত আশা করছেন আর সেই বিষয়েই অধিক চিন্তিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *