December 22, 2024

কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ২নং ধনকোল অঞ্চলের নসিরহাট গ্রামের গৃহবধূ মৃত্যু রহস্যের রহস্যজনিত বিচারের দৃশ্যে এলকাবাসী হতবাক

1 min read
জয়ন্ত বোস , বর্তমানের কথা :কণ্যার জন্যই  কন্যাশ্রী আর সেই কন্যাশ্রী বিবাহের পরে গৃহশ্রী. এই গৃহশ্রী গৃহবধূ ২১-২২ বছরের মামনি বর্মণ. হত দরিদ্র পরিবারে একমাত্র কন্যা রূপে জন্ম গ্রহণ করে পৃথিবীর আলো দেখার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জীর স্বপ্নের প্রকল্প “কন্যাশ্রী” দেখেছে এবং ভবিষ্যৎ জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ও সুখের জন্য মায়ের পছন্দের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কালিয়াগঞ্জ ব্লকের  ২নং ধনকোল অঞ্চলের নসিরহাট গ্রামের বাসিন্দা এবং রসিদপুরে একটি সাইকেল দোকানের কর্মচারী বিশু বর্মনের সাথে. মামনির বাবা থেকেও নেই তথাপি মা ব্যঙ্গ বর্মণ নিজে অশিক্ষিত হয়েও খুব কষ্ট করে

মিলে লেবারের কাজ করে মেয়ে মামনিকে শিক্ষায় শিক্ষিতা করে তুলতে পিছিয়ে থাকেন নি.মামনি কালিয়াগঞ্জ কলেজে স্নাতকস্তরে পড়াশুনা করতো কিন্তু মায়ের ইচ্ছায় দেড় বছর আগে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বিশুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় কিন্তু স্বপ্নের ফেরিওয়ালা পুঁথিগত  শিক্ষার আক্ষরিক অর্থ কি জিনিস মামনির মতো মেয়েকে পেয়েও বুজতে পারে নি . নম্র , ভদ্র , মিশুকে , পড়াশুনা জানা মামনি ভবিষ্যতের সামান্য সুখের জন্যই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা বিশুর যে হাতটি ধরেছিল গত বৃহস্পতিবার ২৫শে জানুয়ারি স্বপ্নের ফেরিওয়ালার সেই হাত সদ্য ফুটন্ত অতি অল্প বয়স্কা গৃহশ্রী মামনির জীবন টাকে কেড়ে নিয়েছে এই বক্তব্য বিশুর প্রতিবেশীদের এমনকি মামনির মামীর. মামনির বিবাহে পণ হিসাবে নগদ ৪০হাজার টাকা , খাট , আলনা , স্বল্প সোনার কানের অলঙ্কার দিয়েই মামণিকে পাত্রস্থ করেন সকলের সাহায্য নিয়ে মামনির মা. বিবাহের পর থেকেই মামণিকে শ্বশুরবাড়িতে স্বামী বিশু ও শ্বাশুড়ী মল্লিকা বর্মনের বিভিন্ন অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে অল্প বয়সেই কিন্তু বিশুর পাড়া প্রতিবেশীরা , এলাকার মানুষজনেরা  মামনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ , তাহারা  মামণিকে সকল অত্যাচারে মুখ বুঝে থাকতে দেখেছে কিন্তু প্রতিবাদ করতে দেখে নি. ঘটনার দিন দুপুর ২টার সময় মামনি শ্বশুরবাড়ীতে শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে থাকে .এই দেখে স্বামী বিশু ও শ্বাশুড়ী চিতকার করলে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসে . তারা দেখে মামনির মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে . কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই বিশু কি করে ফাঁস লাগা মামণিকে নামিয়ে রাখলো এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা প্রশ্ন তুলেছে , শুধু তাই নয় ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে এলাকাবাসী ও মামনির মামী , স্বামী বিশু ও শ্বাশুড়ী মল্লিকাদেবীর বিরুদ্ধে জোড়ালো আবেদন রাখে এবং এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ বিশু ও মল্লিকাদেবীকে থানায় নিয়ে আসে . সকলের সন্দেহ মামণিকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় বিশু ও তার মা .পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট , হতভাগ্য মায়ের বাকরুদ্ধ হয়ে পরা  সর্বোপরি থানা থেকেই বিশু ও মল্লিকা দেবীর বাড়ীতে ফিরে আসা নিয়ে এলকাবাসীদের কাছে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে , কি সেই প্রশ্ন আপনারাই জানেন তবে গৃহশ্রী মামনি আজ  এই সংসার জগতে নেই , বেঁচে রইলো তার স্মৃতি হত দরিদ্র মায়ের অন্তরে আর বেঁচে থাকবে বিশু ও মল্লিকাদেবীর মতো পিশাচের মানুষ .

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *