দুই গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম বাঁশের মাচা
1 min readNotice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home2/tektechx/bartamanerkatha.in/wp-content/themes/newsphere/inc/hooks/hook-single-header.php on line 67
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : দীর্ঘদিন ধরেই দুই গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম বাঁশের মাচা।দাবি পাকা ফুট ব্রিজের।এই দাবিতে বারংবার প্রশাসনের আমলাদের দরজার কড়া নেরেও হয়নি কোনো সমাধান।অবশেষে যাতায়াতের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে অনির্দিষ্ট কালের জন্য তালা ঝুঁলিয়ে দিলো দুই গ্রামের খুদে পড়ুয়া সহ গ্রামবাসী।দিন গড়িয়ে গেলেও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে খুদে পড়ুয়ারা সহ গ্রামবাসী।কার্যত পঞ্চায়েত অফিসে এসে ঘুরে যেতে হলো কর্মীদের।ঘটনা মালদার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের।সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সার্জাপুরা ও দেবীপুরা গ্রাম।এই দুই গ্রামের মাঝে রয়েছে মরা জালাল নদী।এই দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মূল মাধ্যম এই নদী পার করা।নদীর ওপর পঞ্চায়েতের অর্থে নির্মিত রয়েছে বাঁশের মাচা।সেই বাঁশের সেতু দিয়েই দুই গ্রামের মানুষের নিত্য যাতায়াত।প্রতিনিয়তই ঘটতে থাকে দুর্ঘটনা।তবে বন্যার সময় চিত্রটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত।প্রায় ৬ মাস বন্ধ হয়ে যায় পড়ুয়াদের স্কুল।গ্রামবাসীদের অভিযোগ,এই যাতায়াতের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি পাকা ফুট ব্রিজ।তাই ২০১৪ সাল থেকে লাগাতার আন্দোলন সহ প্রশাসনের কর্তাদের বারংবার জানানো সত্ত্বেও কোনো সমাধান হয়নি।আগত বর্ষার আগে এই কাজের সমাধান না হলে আমাদের প্রচুর সমস্যা হবে।তাই আমরা পুনরায় আন্দোলনে নেমেছি।অনির্দিষ্ট কালের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।আমাদের দাবীর কাজ শুরু না হলে পঞ্চায়েত অফিসে অন্যান্য কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না।আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী খুদে পড়ুয়ারাও পাকা সেতুর দাবি তুলেছেন।এদিকে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের বোঝানোর পাশাপাসি তালা খোলার জন্য আলোচনা করেছেন।তবে দিনের শেষ হলেও পঞ্চায়েত অফিসে তালা বন্ধ রেখে অনড় গ্রামবাসী সহ খুদে পড়ুয়ারা।