মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারি বাড়াতে তৈরি হচ্ছে জেলা প্রশাসন
1 min readনিউজ ডেক্স ,বর্তমানের কথা উত্তর দিনাজপুর জেলার এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির অধিকাংশই ইসলামপুর মহকুমার মধ্যে রয়েছে। সেজন্য প্রশাসন এখন থেকে সবরকম প্রস্তুতিশুরুকরেদিয়েছে।উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলার মোট ২২টি স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ইসলামপুর মহকুমার শ্রীকৃষ্ণপুর হাইস্কুল, মাটিকুন্ডা হাইস্কুল এবং ক্ষুদিরামপল্লি হাইস্কুল এই তালিকায় রয়েছে। চোপড়ার লক্ষ্মীপুর হাইস্কুল, কালিগঞ্জ হাইস্কুল এবং বাচ্চা মুন্সি গার্লস হাইস্কুল, গোয়ালপোখরের মণিভিটা হাইস্কুল, ধরমপুর হাইস্কুল, ঠিকরিবাড়ি হাইস্কুল এবং সোলপাড়া হাইস্কুলকে পর্ষদ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে, চাকুলিয়ার কানকি শ্রীজৈন বিদ্যামন্দির, এসবি টোলি হাইস্কুল, মনোরা হাইস্কুল, চাকুলিয়া হাইস্কুল, রামকৃষ্ণপুর পিডিজিএম হাইস্কুল এবং সূর্যাপুর হাইস্কুল ছাড়াও করণদিঘির রসাখোয়া হাইস্কুল, আব্দুলপুর হাইস্কুল, মাদারগাছি হাইস্কুল, ডালখোলা গার্লস হাইস্কলকে স্পর্শকাতার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও রায়গঞ্জ মহকুমার ইটাহার ব্লকের দু’টি স্কুলকে স্পর্শকাতর বলে পর্ষদ জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে। পর্ষদ থেকে এসব স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত পুলিস দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ এবার মাধ্যমিকের লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ২১ মার্চ পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা চলবে। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এবার উত্তর দিনাজপুরে মোট পরীক্ষার্থী ৩৮ হাজার ৫৯৩ জন। মোট ১০২টি ভেন্যুতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। চোপড়ার কোটগছ কেন্দ্রে জেলার সব চেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ৯২২ জন পরীক্ষা দেবে।উত্তর দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং নকল রুখতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন না নিয়ে যাওয়া, ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা লাগানোর মতো বিষয়গুলি আছে।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা চালাতে ইতিমধ্যেই পর্ষদ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। প্রশাসনও বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে প্রাথমিক প্রস্তুতি বৈঠক করে নিয়েছে।মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণ টোকাটুকিতে ইসলামপুর মহকুমার একটা বদনাম অনেকদিন থেকেই আছে। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, আমরা শিক্ষাদপ্তরেররিপোর্ট পেয়েছি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সবরকমভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্ষদ নমিনি সঞ্জয়চন্দ্র দাস বলেন, গত বছরের রিপোর্টের ভিত্তিতে এবারে জেলার ২২টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।