বিচারাধীন বন্দীর আলিপুর সংশোধনাগারে মৃত্যু
1 min readবিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : বিচারাধীন বন্দীর আলিপুর সংশোধনাগারে মৃত্যু।ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দির অভাব অনটনের পরিবার দেহ বাড়ি আনতে অসক্ষম।তবে বাড়ির কর্তার দেহ একবার কাছে পেতে চাই পরিবার।দেহ নিয়ে আসতে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক,এখন এই অপেক্ষায় মৃত বন্দির পরিবার।সাথে এমন মৃত্যুতে প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে পরিবারের গলায়।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, মৃত বন্দির নাম বুদ্ধু সাহা(৬২)।মালদা থানার মাধাইপুর ভাটারা পড়ার গ্রামের বাসিন্দা।শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ১ বছর ১ মাস আগে বিচারাধীন গ্রেফতার করা হয় তাকে।বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল সংশোধনাগারে ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,প্রায় ১৪ মাস আগে গ্রামের ইট ভাটায় নিয়ে গিয়ে বছর নয়ের এক নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো ষাটোর্ধ্ব এই বুদ্ধু সাহার বিরুদ্ধে।ধর্ষনের অভিযোগের ভিত্তিতে তারপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।মৃতার স্ত্রী ঊষা সাহা জানান,ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে ১৩ মাস আগে গ্রেফতার করেছিলো।আমার কোনো পুত্র সন্তান নেই।বৃদ্ধ অবস্থায় ভিক্ষা করে দিন কাটছি।এক মেয়ে আছে,তার বিয়ে হয়ে গেছে।যতটা সম্ভব মেয়ে সাহায্য করে।রাতে বাড়িতে পুলিশ এসে জানায় স্বামী মারা গেছে।গত ১৬ তারিখ মালদা আদালতে তোলার সময় কথা বলেছিলাম স্বামীর সাথে।সুস্থ ছিলো বলে জানিয়েছিলো সে।কিন্তু কি করে মারা গেলো জানানেই।আলিপুর সংশোধনাগারে কবে নিয়ে গেছে তাও আমাদের জানানেই।কেউ আমাদের জানাই নি।এখন কোনো রকম দেহ কাছে পেতে চাই আমি”।এদিকে মেয়ে কাঞ্চন সাহা জানান,”বাবা ধর্ষণের মামলায় জেলে ছিলো।পয়সার অভাবে বাবাকে ছাড়াতে আইন পদক্ষেপ কিছুই করতে পারিনি।বুধবার রাতে পুলিশ বাড়ি এসে বলে বাবা মারা গেছেন,দেহ আনার ব্যবস্থা করতে।অভাবের তাড়নায় অতো দূর থেকে আমাদের পক্ষে দেহ আনা সক্ষম নয়।সুস্থ দেখার পর কি করে মারা গেলো কিছুই জানানো হয়নি আমাদের।আমাদের দেহ ফিরে পেতে চাই।কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে বাবার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে দিক”।