October 12, 2024

রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি ছিনিয়ে নিতে সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে নামছে

1 min read
কংগ্রেসের হাত থেকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি ছিনিয়ে নিতে সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ময়দানে নামছে  । কংগ্রেস আঁকড়ে ধরে রাখতে পেরেছে পরিবর্তনের স্রোতেও গত পাঁচবছর ধরে জেলার একমাত্র রায়গঞ্জ আসনটি । এবারও এই
আসনটি নিজেদের দখলে রাখার জন্য কংগ্রেস প্রচেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না। রায়গঞ্জ
পঞ্চয়েত সমিতি এবার তাই তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত পুরভোটে
রায়গঞ্জ পুরসভা কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়। একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত রায়গঞ্জে এই
পঞ্চায়েত সমিতি এবার কংগ্রেসের হাতছাড়া হলে দল আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে।
 

জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মানস ঘোষ বলেন
, কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ
পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়ন করতে পারেনি। আমরা এবারের নির্বাচনী
প্রচারে সেই ব্যর্থতার কথাই সকলের সামনে তুলে ধরছি।


 পাশাপাশি রাজ্য সরকারের
উন্নয়নের খতিয়ান মানুষকে জানানো হচ্ছে। মানুষই এসবের বিচার করবে। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত
সমিতি দখল এবার আমাদের কাছে পাখির চোখ। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক
কংগ্রেস সভাপতি লিয়াকৎ আলি বলেন
, তৃণমূল জোর করে সব কিছুই করতে পারে।
প্রকৃত ভোট হলে তৃণমূল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতিতে জিততে পারবেন না।


 আমাদের
ব্যর্থতা বলে যেসব প্রচার করা হচ্ছে সেগুলি ওদের অসহযোগিতার কারণেইসম্ভবহয়নি।
 রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি দখলে রাখা এবারে
কংগ্রেসের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে
, এই পঞ্চায়েত সমিতি কংগ্রেসের হাতছাড়া হলে জেলায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব আরও
বিপন্ন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে
দাঁড়িয়েছে। কারণ কমবেশি জেলার সর্বত্রই তারা ক্ষমতায় রয়েছে। তাই এই আসনটি দখলে
নেওয়ার জন্য এবার তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। গত পঞ্চায়েত ভোটে এখানে তৃণমূল ভালো
ফল করতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে একেরপর এক দলবদলে এখানে তৃণমূল অনেকটাই শক্তি
বৃদ্ধি করেছে।
 গত পঞ্চায়েত ভোটে রায়গঞ্জ
ব্লকের তিনটি জেলা পরিষদ আসনেই কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। 


পরবর্তীতে পূর্ণেন্দু দে ও
সামিমা বেগম তৃণমূলে যোগ দেন। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি লিয়াকৎ আলির স্ত্রী নার্গিস
খাতুন এখনও কংগ্রেসে আছেন। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৪২ আসনের মধ্যে কংগ্রেস
২৯টি
, বামেরা ১২টি এবং তৃণমূল একটিমাত্র আসনে
পেয়েছিল। পরবর্তীতে কংগ্রেস ও বামেদের থেকে বেশকয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এই
পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আড়াই বছর পার হওয়ার পর রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি
লিয়াকৎ আলির বিরুদ্ধে একবার অনাস্থা আনা হয়েছিল। কিন্তু তা পাশ না হওয়ায় তিনিই
সভাপতি থেকে যান। এবারেও মূলত তাঁর নেতৃত্বেই কংগ্রেস এখানে ভোটে লড়ছে।
 এদিকে রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনে
কংগ্রেসের হার
, রায়গঞ্জের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি
পঞ্চায়েতে কংগ্রেস জয়ী হলেও পরবর্তীতে দলবদলের কারণে বর্তমানে একটিও পঞ্চায়েত
কংগ্রেসের দখলে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *