প্রীতম সাঁতরা : বর্তমানে হুজুগ উঠেছে অনলাইন পেমেন্ট মেথড নিয়ে। তখন সাধারণের দৃষ্টির অগোচরে গজিয়ে উঠছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিট কয়েন নামক অনলাইন কারেন্সির লেনদেন। যাকে অনেকেই ভবিষ্যতের অর্থ আমদানি -রফতানির মাধ্যম বলেও মনে করছেন।
কিন্ত এই ক্রিপটোগ্রাফি নামক প্রক্রিয়াটি অনেকের কাছেই অজানা।ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করতে করতে প্রায়শই গরম হয়ে যায়। আমাদের অনেকেরই ধারনা, অত্যধিক ফোন ব্যবহার বা নেট সার্ফিং-এর ফলেই এই ঘটনা। আলবাদ এটিও একটি সম্ভাবনা।
কিন্তু ফোন হ্যাকিং বা ক্রিপটোজ্যাকিং-য়ের ফলেও আমাদের কম্পিউটার বা ফোনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। অনলাইন কোনো লিঙ্ক বা ওয়েবসাইট ভিসিট করার সময় আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি ক্রিপটোজ্যাকিং-য়ের শিকার হয়। বিট কয়েন বা মোনারো আদানপ্রদানের সময় আনলাইন মাইনিং-য়ের প্রয়োজন হয়। তার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ শক্তির উৎস। আমাদের কম্পিউটার বা ফোনই হ্যাকারদের শক্তির উৎস।
সি++ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে ক্রিপটোজ্যাকিং সম্পন্ন করা হয়। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বার্ষিক হিসাবে ১.৪৬ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতি ঘন্টায় ‘চুরি’ হয়েছিল। ২০১৭-র শেষে এই পরিসংখ্যান ঠেকেছিল ১-৪ গিগাওয়াটে।এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, সাধারণের আদৌ কি কোনো ক্ষতি হচ্ছে এর ফলে? বৃহৎ পরিসরে ভাবলে, উত্তরটা অবশ্যই হ্যাঁ। কারণ নেট ব্যবহারকারী অনেকেই এর শিকার হচ্ছি আমরা।
২০১৭-তে ভারতবর্ষে নেট ইউজার্সের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৬ কোটি। ২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হতে পারে ৮৩ কোটি। অর্থাৎ এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী কাছ থেকে বিদ্যুৎ চুরির সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু বিট কয়েন লেনদেনে কোনো সরকারি নিয়ম লাগু হয় না, তাই অনায়াসেই অবৈধ অস্ত্র বা সামগ্রী, মাদক দ্রব্য এমনকি বেয়াইনি পর্ণোগ্রাফির ক্ষেত্রেও এই পন্হা অবলম্বন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে কারেন্টের বিলও। কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধও করা হয়েছে এই পন্হা। এদিকে ক্যানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ক্রিপটোগ্রাফিকে সরকারীকরণ করার ভাবনা চিন্তাও।