পুতুল নাচের শিল্পীরা কেমন আছেন ? খোজ নিল " বর্তমানের কথা
1 min readমাধ্যেম কাঠ পুতুল নাচ আজ গ্রাম বাংলা থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে পাচাত্য সাস্কৃতির
দাপটে।
আজ তারা সেই গ্রামেই আছেন, আছে তাদের কাঠ পুতুলও, তবে পুরোপুরিভাবে আনকোরা শিল্পীদের মাটির বাড়িতে এক কোণাতে অগোছালো অবস্থায়।
সেই সময় এই পুতুল নাচ দেখতে সাধারণ মানুষেরা ভীষন ভীড় করত। একেকটি পালার নাম যেমন ছিল, শকুন্তলা,লায়লা মজনু, ভক্তপ্রল্লাদ, রাজা হরিশচন্দ্র সহ আরো বেশ কিছু। তবে আজ আর নেই সেই পুতুল নাচ,আছে শুধু একরাশ বেদনা আর বিগত দিনের স্মৃতি।
এদিকে এই গ্রামেরই শিল্পী ভান্ডারু দেবশর্মা পুরোনো দিনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন এই গ্রামের শিল্পীরা একত্রিত হয়ে নিজেরাই কাঠের পুতুল তৈরী করে পুতুল নাচ দেখাতাম মানুষকে আনন্দ দিতাম। কিন্তু আজ আর নেই। শুধু রয়ে গেছে কাঠের সেই পুতুল গুলি।’ ভান্ডারু বাবু জানান যে, পুতুল নাচকে কেন্দ্র করে তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একটা সময় দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। আজ পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির দাপট ও বোকা বাক্সের দাপটে লুপ্ত হয়ে গেছে।
কেউ আর তাদের এই শিল্পকে গুরুত্ব দেয় না। তাই বাধ্য হয়ে রুটি রুজির তাগিদে গ্রামের শিল্পীরা পুতুল নাচ দেখানো বাদ দিয়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকেছেন। এদিকে অপর এক পুতুল নাচ শিল্পী বাবুল সরকার জানান, একটা সময় তাদের এই পুতুল নাচ এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল যে রাশিয়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণ তারা পেয়েছিলেন। কিন্তু তখন বাড়ির মানুষেরা এতটা দূরে তাদের যেতে না দেওয়ায় তাদের যাওয়া হয়নি। শিল্পীদের বিশ্বাস এখনও, যদি সরকার বালাস গ্রামের পুতুল নাচকে জনসম্মুখে হাজির করে, এই সংস্কৃতিকে বাঁচাতে চায় তাহলে এখানকার শিল্পীরা তৈরী আছেন। শিল্পীদের আক্ষেপ সরকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিকে বাচাতে নানান ধরনের চেষ্টা করেলেও, তাদের এই পুতুল নাচকে বাচাতে কোন দিনই এগিয়ে আসেনি ।