এখনো অবাধে বিক্রি চলছে নিষিদ্ধ ফিনসিডিলের, প্রশাসন নির্বিকার
1 min read
পল মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুরঃ ছোটবেলা থেকেই আমরা সকলে শুনে আসছি যে,খুশখুশে কাশি বা সর্দি হলে কফসিরাফ খেলে তা সেরে যায়।মেডিকেল সায়েন্স এই ঔষুধ আবিস্কার করেছে রোগ নিরাময়ের জন্য।
কিন্ত এই ঔষুধই এখন যুবসমাজের কাছে নেশার ট্রেড মার্ক।চলতি ভাষায় একে ডাল বলে পাছে কেউ বুঝতে না পারে।বাজারে এর চাহিদা এতই যে অনেকে এই কফসিরাফ অধিক মুনাফা লাভের লোভে ওপার বাংলায় পাচার করে।মাঝে মধ্যে তাদের ধরা পাওয়ার খবর শোনা যায়।এই নেশা এত মারাত্মক যে এর ঘোরে নেশারুরা যদি কোনো ঘটনা ঘটিয়েও ফেলে তো তাদের কোনো হুঁশ থাকেনা।তাছাড়া,ওপার বাংলায় এই এক একটি সিরাফ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা অবধি বিক্রি হয়।এহেন গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুরে বেশ কিছু ঔষুধের দোকানে বেআইনি ভাবে কফসিরাফ বিক্রি হচ্ছে।কার্যত মোটা টাকার বিনিময়ে যুবসমাজের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে এই বিষ।সব থেকে বড় কথা যা কিছু ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
বুনিয়াদপুর স্টেশন মাঠ সংলগ্ন এলাকায় দেখা যায় পড়ে রয়েছে কফসিরাফের বোতল।ফুটবল মাঠ বংশীহারী সেতুর নিচ থেকে শুরু করে পীড়তলা এলাকায় রমরমিয়ে নেশা করা হয় এই সিরাফের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন,কী করবো এই অগ্নিমূল্য বাজারে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে করছি।প্রশাসনকে জানাতে পারিনা ব্যবসা বন্ধের ভয়ে।আমাদেরও খারাপ লাগে কিন্তু কি করবো বলুন।এলাকার এক পরিবেশবিদ ও লেখক বিশ্বপ্রীয় সাহা জানান,কফসিরাফে পরিমানগত ভাবে অ্যালকোহল থাকে কিন্তু কোনো ব্যক্তি যখন কফসিরাফ একেবারে পান করেন তখন তার দমবন্ধ হয়ে আসে এমনকি মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে।তাছাড়া ফুসফুস কিডনি ও হৃত্পিন্ড মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।প্রশাসন মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও মানুষকে সচেতন হতে হবে।যারা নেশা করছে তারাও তো মানুষ তারাও আমাদের দেশের ভবিষ্যত হতে পারে।নেশা করে বলে তাদের অবহেলা করা ঠিক নয়।এই নেশার হাত থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে ও এর প্রতি
রোধে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।