পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দল বিরোধী কাজের জন্য তৃনমুল দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কৃত হলেন দক্ষিন দিনাজপ্পুর জেলার হরিরামপুরের সোনা পাল
1 min readমুখে দল বিরোধী কাজের জন্য তৃনমুল দল থেকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কৃত হলেন দক্ষিন দিনাজপ্পুর জেলার হরিরামপুর এলাকার
বিতর্কিত নেতা শুভাশীষ ওরফে
সোনা পাল। আজ বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা তৃনমুল
কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব মিত্র এই বহির্ষকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন
গতকাল রাত্রে তাদের দলের
সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশ অনুসারে তিনি আজকের এই বৈঠকে হরিরামপুরে দল বিরোধী কাজ
কর্মের জন্য ওই এলাকার শুভাশীষ পালকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহির্ষকার করছেন।
পাশাপাশি এই বহিষ্কারের
সিদ্ধান্তের মধ্যমে দলের ভিতর অনান্যরা যারা এখনও দল বিরোধী কাজের সাথে যুক্ত
তাদেরকেও সতর্ক করা হল বলে
তিনি মন্তব্য করেন।জেলা সভাপতি র সো
না পালের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপ
আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেন সোনা পাল এবারের নির্বাচনে তৃনমুলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে
তাদের মুল প্রতিদ্বন্দি কংগ্রেসের প্রতিকে তার মা ও দাদা কে প্রার্থী হিসেবে শুধু
দাড় করিয়েছেন তাই নয়। তিনি সেখানকার তৃনমুলের সংগঠনের কর্ম্যিদের নিয়ে কংগ্রেসের
হয়ে তৃনমুলের
বিরুদ্ধে ভোট প্রচার
করেছেন। জেলা সভাপতির আরও দাবি বিষয়টি শুধু জেলা তৃনমুল নেতৃত্ব নয়। এর পাশাপাশি দলের নেত্রী ও তার বিভিন্ন সোর্স মারফত এ বিষয়ে খোজ নিয়ে জানতে
পেরে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সেই দলের নেত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন। যদিও বিপ্লব মিত্রকে প্রশ্ন করা এর আগেও সোনা
তথা শুভাশীষ পালকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হলেও পরে তাকে আবার ফিরিয়ে
নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাকে আবার ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে কিনা। তখন বিপ্লব মিত্র বলেন সেক্ষেত্রে তাকে শোকজ
করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মাত্র। এবার তাকে দল থেকেই পুরোপুরি বহিষ্কার করা হল। দুটোর মধ্যে ফারাক অনেক বলে
তিনি মন্তব্য করেন। ।আজকের সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
বালুরঘাটের সংসদ অর্পিতা ঘোষ উপস্থিত থাকলেও অদ্ভুত ভাবে এই বৈঠকে গর হাজির ছিলেন
জেলা সভাপতির বিক্ষুদ্ধ গোষ্টী তথা সোনা পালের দিকে থাকা দলের প্রাক্তন জেলা
সভাপতি শংকর চক্রবর্তী ও জেলার একমাত্র মন্ত্রী তথা তপনের বিধায়ক বাচ্চু হাসদা।অন্যদিকে
দল বিরোধী কাজের জন্য ছয় বছরের জন্য বহিষ্কৃত হবার খবর জানার পর জেলা সভাপতির
অভিযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন বিতর্কিত নেতা শুভাশীষ ওরফে সোনা পাল। তিনি বলেন
বিপ্লব মিত্র কে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার। তিনি নিজেই তো দল বিরোধী কাজে লিপ্ত।
কেননা সুব্রত বক্সি ও
অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশে সোনা পালকে জেলা কমিটিতে স্থান করে দিলেও আজ পর্যন্ত
কোন মিটিং ও দলিয় বৈঠকে জেলা সভাপতি তাকে ডাকেন নি। তাই উলটে তিনি নন বিপ্লব
মিত্রই দল বিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত বলে বিতর্কিত নেতা সোনা পাল মন্তব্য
করেন। অপরদিকে আবারও গত
বিধান সভা নির্বাচনের মত আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গোষ্ঠী দ্বন্দ মাথা চাড়া দেওয়ায়
জেলার তৃনমুল নেতৃত্ব বিধানসভার ভোটের মত খারাপ ফলের আশংকায় কাটা হয়ে রয়েছেন।
যদিও মুখে তার কোন প্রভাব
তারা পড়তে দিতে নারাজ।