নির্বাচনী ক্যাপ্টেনদের ভুল পরামর্শের কারনেই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অসীম ঘোষের পরাজয়
1 min read
তপন চক্রবর্তী--উত্তর দিনাজপুর–ত্রিস্তরিয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে হচ্ছে করতে করতে শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার হয়েই গেল। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র শাসক তৃণমূলের জয়জয়কার হলেও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চিত্রটা যেন শাসকদলের কাছে বেমানান ব্যাপারের মত একটা ঘটনা ঘটে গেছে বলে যেতে পারে। অনেকটাই শনির দশা লাগলে যেমন হয় তেমন।এই সমস্ত ঘটনা ঘটবার যথেষ্টই নাকি কারন রয়েছে যা অসীম ঘোষের উপদেষ্টাদের বুঝবার ক্ষমতা যথেষ্টই অভাব ছিল।অসীম ঘোষের রাজনৈতিক উপদেষ্টাদের এতটাই রাজনৈতিক বোধের অভাব ছিল যার কারনে নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দিতে বাঁধ দিয়ে একসাথে বিরোধী প্রাথী সহ কালিয়াগঞ্জ ব্লকের জনতা জনাদর্নদের খেপিয়ে তুলতে ওষুধের মত কাজ করেছে।দ্বিতীয়ত অসীম ঘোষের বাড়িতে এবং নির্বাচনী প্রচারে তার উপর হামলার কারনে গ্রামের মানুষদের পুলিশ দিয়ে নির্বাচনের পূর্বে রাতে বেড়াতে গ্রামের মানুষদের যে ভাবে ঘরছাড়া করেছিল তা গ্রামের মানুষদের এক করতে বিরাট সহায়তা করেছিল বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা ।
অভিজ্ঞ মহলের ধারণা শাসকদল বহিরাগত নিয়ে বিজেপিকে দোষারোপ করে থাকে অথচ সেই শাসকদল নির্বাচনের আগেরদিন যেভাবে একসাথে প্রচুর গাড়ি নিয়ে গ্রামে গঞ্জে নিজেদের শক্তির বহি প্রকাশ ঘটিয়ে এসেছে তাতে গ্রাম বাসীরা ধরেই নিয়েছে ব হিরাগতদের নিয়ে এসে গ্রামে গ্রামে ভোটারদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।এই কাজ সঠিক হয়নি বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করে।এসব ছাড়াও তৃণমূলের বিরাট গোষ্ঠীদ্বন্দ নির্বাচনের প্রচারের সময় অসীম ঘোষের বিরুদ্ধে চোরা গুপ্তা কাজ করবার সুযোগ গ্রহণ করেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।অভিজ্ঞমহলের আরো বক্তব্য অসীম ঘোষের নির্বাচনী প্রচারের কাজে অনেক অভিজ্ঞ শাসকদলের কর্মীদের দূরে সরিয়ে দিয়ে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদের যে ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল অসীম বাবুর পরাজয়ের এটা একটা বড় কারণ অবশ্যই বলে মনে করেন।অসীম বাবুর পরাজয়ের পেছনে আরো বড় একটা কারণ মনে করা হচ্ছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্বের দিক থেকে।অভিজ্ঞ মহলের স্থির বিশ্বাস যেন তেন ভাবে যদি অসীম ঘোষকে হারানো যায় তাহলে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে জেলা সভাপতি অমল আচার্যের আশীর্বাদ সবসময়ের জন্য থাকার সুবাদে তৃণমূলের সংগঠনের কোন পরিবর্তন সম্ভব হবেনা।তাই যত রকম অস্ত্র আছে তা এই সুযোগেই অসীম বাবুর পরাজয়ের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার মৌখিক নির্দেশ যে আসেনি তা কে বলতে পারে?আসলে আঁধার ঘরে সাপ সারা ঘরে সাপ থিওরি প্রয়োগ করে অসীম ঘোষকে যে হারানো হয়েছে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা সেই কথাই বলছে।এও বলছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরি চালনা করবার জন্য যে সমস্ত ক্যাপ্টেন,বিগ্রেডিয়ারদের উপর নির্ভর করে অসীম ঘোষ নির্বাচনে লরেছিলেন তাদের দূরদর্শিতার অভাবেই এই নির্বাচন বিশেষত কালিয়াগঞ্জ ব্লকে গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত আনতে সাহায্য করেছে বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করে।এই সমস্ত কারনেই অসীম ঘোষের মত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পরাজয় ঘটেছে বলে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল মনে করছে বলে যানা যায়।