চোখে সানগ্লাস এটে সটান মন্দিরে হাজির ,পাত্রের বয়স ৬৬
1 min read
চোখে সানগ্লাস এটে সটান মন্দিরে হাজির ,পাত্রের বয়স ৬৬। তাতে কুছ পরোয়া নেই। । সেখানেই চার হাত এক হল। কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী প্রশান্ত ঘোষের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। নিঃসন্তান প্রশান্তর প্রথম স্ত্রী কয়েক বছর আগে মারা যান। তারপর মধ্যমগ্রামের বাড়িতে একাই ছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু দোতলা বাড়িটা যেন গিলে খেতে আসত তাঁকে। একাকিত্ব কাটাতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পাত্রী বাবলি সরকার বয়সে অনেকটাই ছোট। ৪৫। ডিভোর্সি বাবলিও একজনকে খুঁজছিলেন। বয়স বাধা হয়নি। সোমবার বিয়ের পর মধ্যমগ্রামের পূর্বাচলে সংসার পাতলেন নব দম্পতি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৬-য় পত্নি-বিয়োগের পর প্রশান্ত বোঝেন একা তিনি থাকতে পারবেন না। একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। সাত-পাঁচ ভেবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন। ঠিক করেন, কে কী বলল তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সত্ত্বর কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন প্রশান্ত। বিজ্ঞাপনের বয়ানটা ছিল খানিক এরকম— স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পাত্র অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে। ৪০/৪৫-র মধ্যে ফর্সা, সুন্দরী পাত্রী চাই। প্রশান্ত জানালেন, কাগজে বিজ্ঞাপন বেরোনো মাত্র পাত্রীর লাইন পড়ে গিয়েছিল। শেষমেশ নদিয়ার বাবলিকেই মনে ধরে তাঁর। বাবলির বাড়ি নদিয়াতে হলেও থাকেন বেলঘরিয়ায়। লেডিজ হোস্টেলে। বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন বাবলি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর একে অপরকে চিনতে বাইরে কয়েক বার দেখা করেন প্রশান্ত-বাবলি। রেস্তোরাঁয় একান্তে সময় কাটান দু’জনে। একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ তখনই জেনে বুঝে নেওয়া হেয় যায়। হবু বর-বৌ থেকে ততদিনে তাঁরা যেন প্রেমিক-প্রেমিকা! আর দেরি করেননি। ৩০ মে রেজিস্ট্রি সেরে নেন দু’জনে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু এ ভাবে বিয়েতে সায় ছিল না প্রশান্তর। হোক না দ্বিতীয় বিয়ে, হোক না বয়স ৬৬! তা বলে বিয়েতে কোনও জাঁকজমক হবে না? বাবলিকে প্রশান্ত জানিয়ে দেন, ‘প্রস্তুত হও। ঘটা করে বিয়ে করব।’ বরের এমন আবদারে খুশি হয়েছিলেন বাবলিও। ব্যস, মিয়াঁ-বিবি রাজি, তো কেয়া করেগা কাজি? দু’জনেই শুরু করে দিলেন বিয়ের কেনাকাটা। লাজুক হেসে প্রশান্ত জানালেন, চেরি রঙের বেনারসিটা বাবলিই পছন্দ করেছে। এটা কলেজ স্ট্রিট থেকে কেনা। বাবলির বাড়ি থেকে প্রশান্তর জন্য এসেছে সোনার চেন, সাফারি স্যুট। এ সবের মাঝে চেনা পরিচিতদের নেমতন্নও সেরে ফেলেছিলেন দু’জনে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশেষে সোমবার এল শুভলগ্ন। আমডাঙার কালীবাড়িতে মন্ত্র পড়ে, মালা বদলিয়ে বিয়ে সারলেন প্রশান্ত-বাবলি। সন্ধেয় মধ্যমগ্রামের বাড়িতে রিসেপশন। দু’তরফের লোকে জমজমাট হয়ে উঠল বিয়েবাড়ি। পাত পেড়ে, কব্জি ডুবিয়ে খেলেন সকলে। টেবিলে টেবিলে ঘুরে তখন খাওয়ার তদারকি করছেন প্রশান্ত। পরনে শ্বশুরবাড়ির দেওয়া সাফারি স্যুট।
কেন, ছাদনাতলায় বৃদ্ধ
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});