কালিয়াগঞ্জ নজমু নাট্য নিকে তনে যাত্রিক নাট্য গোষ্ঠীর নবতম নিবেদন”চোরেদের লজ্জা হল
1 min readকালিয়াগঞ্জ নজমু নাট্য নিকে তনে যাত্রিক নাট্য গোষ্ঠীর নবতম নিবেদন”চোরেদের লজ্জা হল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৩মে: চোরেরা কি নির্লজ্জ ? নাকি তাদেরও লজ্জা হয় ? হ্যাঁ, খিদের জ্বালায় যারা পাউরুটি চুরি করে তাদের হয়তো হয় কিন্তু সমাজের উঁচুতলায় বসে থাকা চোরেরা যারা শুধু আরো আরো চায় তাদের কোন লজ্জা নেই। সেই কথাই যেন বলে যাত্রিকের নতুন নাটক – চোরেদের লজ্জা হলো। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের নজমু নাট্য নিকেতনে শ্যামলতনু দাশগুপ্তের অসাধারন এই নাট্যসাহিত্যকে নিজের অভিজ্ঞ নির্দেশনার মাধ্যমে মঞ্চে আনলেন নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্ত্তী।নাটক নির্দেশনায় নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী,মঞ্চ ভাবনা শুভাশিস চক্রবর্তী,আলো পাপাই রবিদাস এবং অঙ্গ বিন্যাসে প্রদ্যুৎ তালুকদার।
একজন দাগি চোর বিষ্টুপদ মন্ডল। অভাব আর অনিশ্চয়তায় ভরা জীবন তার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁর অর্ধাঙ্গিনী পুষ্পরানীর ওপর লোভ কনস্টেবল জনার্দন বাপুলির। পুষ্পকে নিজের ডেরায় তুলে ভোগ করতে চায় সে। কিভাবে জীবনকে উন্নত করবে আর বউকে তার হাত থেকে বাঁচাবে, এই ভাবে বিষ্টুপদ এমন সময় এল এক সুবর্ণ সুযোগ। এক সরকারী চুরির বরাত পেল সে। আর সেই চুরি করতে গিয়ে নেমে এল এক নিষ্ঠুর পরিনতি। এর জন্য সমাজ কতটা লজ্জা পেল জানা নেই তবে কিছু নির্লজ্জ চোরের মুখোশটা খুলে গেল চিরতরে।
এটাও জানা গেল এই জালিয়াত বাটপারেরা নিজেরা লুঠ করেই ক্ষান্ত হয় না, তারাই চোর তৈরি করে, তারাই সমাজকে বিপথে পরিচালিত করে তার একটা অংশকে বানিয়ে তোলে দুর্নীতিগ্রস্ত।নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অংশগ্রহন করে উপস্থিত দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন জনার্দন হাবিলদারের ভূমিকায়_কানাই লাল সাহা,পুষ্প_ কেয়া দাস, বিস্টুপদ _গৌরাঙ্গ দাস এবং অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেন কল্লোল চক্রবর্তী ও পবিত্র চক্রবর্তী।