রসালো মিষ্টি, খেতেও সুস্বাদু! আর মিলছে না বাজারে, বিখ্যাত এই আম কি তবে বিলুপ্তির পথে?
1 min readরসালো মিষ্টি, খেতেও সুস্বাদু! আর মিলছে না বাজারে, বিখ্যাত এই আম কি তবে বিলুপ্তির পথে?
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিখ্যাত সূর্যাপুরি আম বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। কেন উত্তর দিনাজপুরে জগৎ বিখ্যাত আম বর্তমানে বিলুপ্তির পথে জানেন কি?উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিখ্যাত সূর্যাপুরি আম বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। কেন উত্তর দিনাজপুরে জগৎ বিখ্যাত আম বর্তমানে বিলুপ্তির পথে জানেন কি? উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সূর্যাপুরে এই আমের একটা সময় প্রচুর উৎপাদন হতো তাই এই আমকে সূর্যাপুরি আম বলা হতো।জানা যায়, বাংলার সুবেদার ইসলাম খাঁ নিজেই এই আম খুব পছন্দ করতেন এবং সম্রাট জাহাঙ্গীরকে এই আম উপহার দিতেন। প্রাচীন ঐতিহ্যবাহি এই আম একটা সময় উপঢৌকন হিসেবেও দেওয়ার রীতি ছিল। একদা প্রত্যেকের ঘরে ঘরে সূর্যাপুরী আমগাছ থাকা যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।এই আমের স্বাদ এতটাই সুস্বাদু ছিল যে দীর্ঘ সময় এই আম নাকে মুখে লেগে থাকত
। এই আমের ভিতরটা শাসযুক্ত। এই আমের ভিতর কোনও প্রকার আঁশ থাকে না। এই আমের আর একটা প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই আম কাঁচা অবস্থায় এতটাই টক যেন মুখে দেওয়া যেত না, আর পাকা অবস্থায় এই আম ছিল অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু।কিন্তু বর্তমানে এই আম বিলুপ্তির পথে।
এই আম চাষে অনীহা জেলার চাষিদের। এ ব্যাপারে চোপড়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ ডা. ধনঞ্জয় মন্ডল জানান, এই আমে বর্তমানে এক প্রকার পোকার উপদ্রব দেখা যায়। গত ১৯৯৫ সাল থেকে সূর্যাপুরী আমে এই পোকার রোগ প্রকট ভাবে দেখা যায়। ইসলামপুর এলাকায় চাষীদের ধারণা ছিল চা বাগান ব্যাপক আকারে হবার কারণেই নাকি এই প্রকার উপদ্রব ঘটছে। যদিও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।এই সূর্যপুরী আমে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে পোকা আছে কিন্তু একটু পাকলে এই আমে পোকা লেগে যায়। এই সমস্যার জন্যই সূর্যাপুরী আম চাষে অনীহা দেখা যায় জেলার চাষীদের। অন্যদিকে ইসলামপুর মহকুমার উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক, অনীক মজুমদার বলেন, চোপড়া ইসলামপুর ও গোয়ালপুকুর ব্লকের বেশিরভাগ চাষী এই আমের চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। কিভাবে চাষীদের এই সূর্যাপুরী আম চাষে আগ্রহ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে রাজ্যে উদ্যান পালন দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখান থেকে নির্দেশ এলেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।