স্কুল শিক্ষকদের কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট করা যাবে না।
1 min readস্কুল শিক্ষকদের কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট করা যাবে না।
স্কুল শিক্ষকদের কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট করা যাবে না। শুক্রবার দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে একথা জানান উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। কমিশনের এই নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের তেমন কোনও সমস্যা না হলেও চরম বেকায়দায় পড়েছে বিরোধীরা। তারা কাউন্টিং এজেন্ট জোগাড় করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এবিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা আছে যদি কোনও ব্যক্তি সরকারের কাছ থেকে কোনও সাম্মানিক নিয়ে থাকেন তাহলে ওই ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট গণনার সময় কাউন্টিং এজেন্ট থাকতে পারবেন না। এমনকী যদি কোনও ব্যক্তি আংশিক সময়ের জন্য কোনও সরকারি বা সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তাহলেও তিনি কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারবেন না।
এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর আপ্ত সহায়ক সৌরভ দাস উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এবারের ভোট গণনায় স্কুল শিক্ষকরা কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ভোটের সময় প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট, ভোটের দিন রাজনৈতিক দলের হয়ে বুথে পোলিং এজেন্ট, এসব ক্ষেত্রেই স্কুল শিক্ষকদের একটা ভালো সংখ্যক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ভোটের ডিউটি করার সময় সাধারণ স্কুল শিক্ষকদেরকেই ভোটকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাই ভোটের আগে যখন জেলা প্রশাসন ভোটকর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করে, তখন সেই তালিকা থেকে মূলত স্কুল শিক্ষকদের নাম কাটানোর জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের তরফেই প্রশাসনের কাছে আবেদন জমা দেওয়া হয়।বিশেষ করে সিপিএম কমিশনের এই সিদ্ধান্তে চরম বেকায়দায় পড়তে চলেছে। কারণ ভোটের সময় একাংশ স্কুল শিক্ষকই সাধারণত তাদের হয়ে পোলিং এজেন্ট বা কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত যেমন আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তেমনি একই নিয়ম তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ক্ষেত্রেও মানা হবে তো? কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়ে অবশ্য রাজ্যের শাসক দলের কোনও আপত্তি নেই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, কমিশন যা নির্দেশ দিয়েছে সেটাই আমরা মেনে চলব।