জনগনের আশীর্বাদ পেলে প্রথম কাজই হবে রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকাকে যোগাযোগের দিক থেকে উন্নত করা_কার্তিক পাল
1 min readজনগনের আশীর্বাদ পেলে প্রথম কাজই হবে রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকাকে যোগাযোগের দিক থেকে উন্নত করা_কার্তিক পাল
তপন চক্রবর্তী,১৪ এপ্রিল:আগামী ২৬ শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচনের রাজ্যের প্রেস্টিজিয়াস আসন গুলির মধ্যে অন্যতম রায়গঞ্জ আসনের নির্বাচক মন্ডলীরা তারা তাদের সুচিন্তিত মতদান করতে চলেছে। প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যেও রবিবারের পড়ন্ত বিকেলে কালিয়াগঞ্জ প্রেস ক্লাবে খোলা মেলা এক সাক্ষাৎকার দিলেন কালিয়া গঞ্জের ভূমিপুত্র তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ লোক সভা আসনের বিজেপির তরুণ তুর্কি প্রার্থী ৫১বছরের কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রাক্তন পৌর পিতা তথা কালিয়াগঞ্জের রূপকার কার্তিক চন্দ্র পাল।প্রথম প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক পাল বলেন যে কোন এলাকার উন্নয়ন দ্রুত ঘটতে পারে যদি সেই এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়।কার্তিক পাল বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার উন্নয়নে যোগাযোগ একটা বড় বাধা।তাই আমি জনগনের আশীর্বাদ পেলে আমার প্রথম এবং প্রধান কাজই হবে উত্তর দিনাজপুর জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।কার্তিক চন্দ্র পাল এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন কালিয়াগঞ্জ কলেজ থেকে রাজনীতিতে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের মাধ্যমে হাতে খড়ি।ভূমি পুত্র তথা প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাস মুন্সীর কাছ থেকেই অনেক কিছুই তার শেখা। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার কংগ্রেস কমিশনার হয়ে জয়ী হয়ে এক সময় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় উপ পৌর পিতার পদে যোগদান।পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের তাগিদে কংগ্রেসের পৌর সভা থেকে পদত্যাগ করে তৃণমূল দলে যোগ।তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় পৌর পিতার দায়িত্ব পান।কার্তিক পাল বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা দীর্ঘদিনের পৌর সভা হলেও এই পৌর সভায় হয়নি কোন রকম উন্নয়ন। তিনি পৌর পিতা হয়ে বিগত দুই বছরের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় যে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন করেছিল সেই উন্নয়নের কথা সবার জানা। আন্তরিকতা থাকলে সব কিছুই সম্ভব।পৌর সভা থেকে একলাফে সাংসদ এটা কি চিন্তার মধ্য ছিল এর উত্তরে কার্তিক পাল বলেন এটা আমার কোন কৃতিত্ব নয়।দলের গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত।দল মনে উপযুক্ত মনে করেছে তাই প্রার্থী হয়েছি।
বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা আপনাকে প্রচারে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে কি?এই প্রশ্নের উত্তরে রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল বলেন আমি সেটা মনে করিনা।তিনি বলেন এটা দেশের ভোট।শক্তিশালী দেশ তৈরি করতে গেলে দূরদৃষ্টি সম্পন্য শক্তিশালী একজন মানুষকে যেমন প্রয়োজন তেমনি শক্তিশালী দুর্নীতিমুক্ত একটি দলের প্রয়োজন ।দল সময় মতই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিরোধী প্রার্থীদের আপনি কি শত্রু না মিত্র মনে করে ভোটের ময়দানে লড়াই করছেন তার উত্তরে বিজেপি প্রার্থী বলেন শত্রুদের যোগ্য সন্মান দাওয়া উচিৎ বলেই মনে করি। জনতা জনার্দন তো রায় দেবে তাহলে বিরোধীদের সাথে বিরোধ কিসের জন্য। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এই রাজ্যের মানুষদের জন্য কি বার্তা বহন করছে?তার উত্তরে বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল বলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি বর্তমানে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে।এই পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন প্রয়োজন রাজ্যের স্বার্থেই।এই সরকার সস্তায় বাজি মাত করবার সমস্ত সরকারি যোজনা তৈরি করেছে।যে যোজনার মাধ্যমে সরকারের কোন আসল কাজ হচ্ছেনা।সরকার লাগামহীন হয়ে গেছে।এই রাজ্যে সরকার আছে বলে মনে হচ্ছেনা। কারন রাজ্যের একটি গোটা শিক্ষা দপ্তর হাজতের মধ্যে।আমার দলের সমর্থক থেকে কর্মী বা নেতৃত্বরা যে ভাবে দলকে জেতানোর জন্য দিনরাত এক করে চলেছে তার জন্য দলের সর্ব স্তরের কর্মীদের কুর্নিশ জানাই বলে কার্তিক বাবু জানান।বিপক্ষ দলের প্রার্থীদের কি বার্তা দিতে চান প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক পাল বলেন পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।কত ভোটের ব্যবধানে আপনি জয়ী হবেন বলে মনে করছেন?উত্তরে কার্তিক পাল বলেন জনতা জনার্দনই বিচারের মালিক।তিনিই যা মনে করবেন সেটাই হবে।তবে জনগনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আমার আছে।জনগন সঠিক বিচার করবেন বলেই তার বিশ্বাস।