আবারো ধর্ষণের চেষ্টা এক ছাত্রর বিরুদ্ধে
1 min read
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদা : শিক্ষাঙ্গনে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রর বিরুদ্ধে।বিদ্যালয়ে টিফিনের সময় ওই ছাত্রীর অপর চলে অত্যাচার।নিজেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টাই রক্ষা হয় ওই ছাত্রীর।তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা ছাত্রীটি।ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য মালদার মানিকচক থানার নূরপুর অঞ্চল জুড়ে।মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার।জানাগেছে,বছর ১৫ এর নাবালিকা ছাত্রী নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রর নাম মোহাম্মদ শামিম(১৯)।নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া।ওই অঞ্চলের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা।ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রী জানান,”বৃস্পতিবার দুপুরেবিদ্যালয়ের টিফিন চলছিলো।সেইসময় এক সহপাঠীর সঙ্গে টিফিন খেতে বিদ্যালয়ের দোতলায় যান।খাওয়ার পর তার সহপাঠী হাত ধুতে নীচে নেমে যায়।সেই সময় একা পেয়ে মোহাম্মদ শামিম নামের ছেলেটি মুখ চেপে ধরে।তারপর মেঝেতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।কোনো ক্রমে ধাক্কা দিয়ে নীচে শ্রেণী কক্ষে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়”।
নির্যাতিতার মা জানান,”মেয়ে ক্লাসে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নূরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করেন।তারপর খবর পেয়ে মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়।আজ গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।এখন অভিযুক্তের শাস্তি চাই”।এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হেলালউদ্দিন ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল হোদার বদলীর দাবি করেছেন।তিনি বলেন,”বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করেছে।শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা লজ্জার।দোষীর শাস্তির সাথে প্রধান শিক্ষকের বদলিও আমরা চাই।ঘটনার কথা জানানো সত্ত্বেও এখনো প্রধান শিক্ষক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি”।এদিকে মানিকচক থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।তবে এখনো অধরা অভিযুক্ত ওই পড়ুয়া।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});