January 13, 2025

আষাঢ় মাস পেড়িয়ে শ্রাবণ তবু ও বর্ষার দেখা নেই

1 min read
রাহুল রায়, পূর্ব বর্ধমান:(সৌজন্যে আলেক শেখ)১৯শে জুলাই, বর্ষা ঋতুর আষাঢ় মাস পেড়িয়ে  শ্রাবণ মাস পড়ে  গেলেও প্রকৃত বর্ষার দেখা নেই ।  আকাশে যে মেঘ নেই তা নয় ।  মাঝে মাঝেই কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না ।  এই মরসুমের বৃষ্টি যেন মানুষকে  মেঘ নিয়ে সেই প্রবাদবাক্যকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে । যে  যত গর্জায়, তত বর্ষায় না ।  পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি প্রধান কালনা  মকুমার পাঁচ ব্লকেই  পাট,  আমন-আউশ  ধান চাষ হয়। বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এই তিন  ফসলই চরম সংকটে । 


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 বাংলা আষাঢ় মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে জমির পাট কেটে সেই জমিতে আমন চাষ হয়ে যায় । কিন্তু বর্তমানে শ্রাবণ মাস পড়ে গেলেও ধানের  চারা এখনো বিজতলাতেই রয়ে গেছে। অত্যাধিক গরম পড়ে যাওয়ার কারনে ধানের বীজতলায় ধসা রোগের আক্রমন হচ্ছে। কৃষকরা অত্যাধিক দামি ঔষধ স্প্রে করেও ধানের চারকে ঠিক রাখতে বেগ পাচ্ছেন। অনেকেই  আষাঢ় মাসের  ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে জলাশয় গুলিতে সামান্য জল জমতে দেখে পাট কেটে জাগ দিয়েছিলেন। প্রখর রৌদ্রে সেই জল শুকিয়ে পাটের জাগ ডাঙায় পড়ে শুকাচ্ছে। বেশ কিছু  কাটা পাটের জাগই দিতে পারেনি কৃষকরা। সেই কাটা পাটও  রাস্তার পাশে পড়ে শুকাচ্ছে।  বেশ কিছু  কৃষক মিনি থেকে জল কিনে জমিতে চাষ দিয়েছিলেন।   কিন্তু মিনি মালিকরা জলকর হঠাৎ দ্বিগুণেরও বেশি করে দেওয়ায় কৃষকরা আর  জমিতে ধান রোপন করতে পারেননি।  ফলে চাষ দেওয়া জমি রোদে শুকাচ্ছে। তবুও  কৃষকরা চল্লিশ টাকা ঘন্টা মিনির জল একশো  টাকা দিয়ে কিনে  রোপন করা জমির ধানের চারা বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  কালনার নিভুজি এলাকার প্রগতিশীল কৃষক হাজী  জমাত মোল্লা জানান পাটের কি পরিণতি তাতো মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই দেখতে পাচ্ছেন। আমন ধান রোপনের সময়  সীমা ইতিমধ্যেই এক পক্ষকাল নাবি হয়ে গেছে। কবে আমন ধান  চারা রোপন করা সম্ভব হবে তারও কোন ঠিকানা নেই। তাই আমরা আমাদের সর্বনাশ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *