যে গ্রামে ৪০০ বছরে কারও জন্ম হয়নি
1 min read
ভগবানের অভিশাপ রয়েছে এই গ্রামের ওপর। অন্তত তেমনই মনে করেন এখানকার বাসিন্দারা। তাদের মতে এই গ্রামে কুনজর রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার শঙ্ক শ্যামজী গ্রামের ঘটনা এটি। এতো গেল গ্রামবাসীদের অন্ধবিশ্বাসের গল্প৷ জানেন কি, এই অন্ধবিশ্বাসের ফলে কোন অদ্ভুত ধারণা বহন করে চলেছেন এখানকার মানুষজন? এই গ্রামের কোনও মহিলা গর্ভবতী হলে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে পাশের গ্রাম বা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কারণ এই গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন গ্রামের মাটিতে অভিশাপ রয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই গ্রামের মানুষ সন্তানসম্ভবা গ্রামের মহিলাদের গ্রামের চৌহদ্দিতে থাকতে দেয়না। সন্তানের জন্ম হওয়ার পর সেই মহিলা গ্রামে প্রবেশের অনুমতি পায়। ঠিক এইভাবে গত চারশত বছর ধরে কোনও শিশুর জন্ম হয়নি এই গ্রামে।
কোনও সদ্যোজাতের মুখ দেখেনি এই গ্রাম গত ৪০০ বছর ধরে। ষোড়শ শতক থেকে চলে আসছে এই ঐতিহ্য। কিন্তু কেন এই ভয়ঙ্কর অন্ধ বিশ্বাস? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এই গ্রামের মধ্যে কোনও শিশুর জন্ম হলেই সেই শিশুর মৃত্যু হয়, নতুবা তার মায়ের মৃত্যু ঘটে৷ এমনকি বিকলাঙ্গ শিশুরও জন্ম হতে পারে এই গ্রামে প্রসব করলে। সেই ষোড়শ শতকেই নাকি ভগবান এই গ্রামকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই এই ঘটনা ঘটে আসছে। ফলে গ্রামের মাথারা এই গ্রামে কোনও শিশুর জন্ম হতে দেন না। এই ঘটনার পিছনে একটি গল্পও প্রচলিত রয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ওই গ্রামে ভগবানের মন্দির বানানোর সময় এক মহিলার কাজে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়। মহিলাটি গম পেষাই করছিলেন, সেই শব্দে মন্দিরের কাজ আটকে যায় কোনও কারণে। সেই সময় ক্রুদ্ধ দেবতা নাকি এই গ্রামেকে অভিশাপ দেন! তখন থেকেই কোনও শিশু এই গ্রামে জন্মায় না। প্রসবের জন্য একটি পৃথক ঘর গ্রামের ঠিক বাইরে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন মায়েরা। গ্রামের সরপঞ্চ নরেন্দ্র গুর্জর বলেন ৯০ শতাংশ প্রসবই হাসপাতালে হয়। তবে আপদকালীন ক্ষেত্রে এই ঘর ব্যবহার করা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});