বর্তমান সরকারের হাত ধরে কুমারগঞ্জ আজ এক উন্নত জনপদ (কুমারগঞ্জের একাল ও সেকাল )
1 min readতাই এই এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে আত্রেয়ী নদীর ভূমিকা অনস্বীকার্য| কৃষিক্ষেত্রই বলুন বা নদী থেকে মৎস আহরণের ক্ষেত্রেই বলুন ,আত্রেয়ী নদীর ব্যাপ্তি সর্বত্র | কিন্তু সেই লাইফলাইন আজ জলশূন্য| কুমারগঞ্জের সামজিয়ার ঠিক এক কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ বাঁধ দিয়ে এই নদীর জল আটকে রাখায় কুমারগঞ্জ ও বালুরঘাট ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি সেচের অভাবে কৃষিকাজ ব্যাহত তদসহ নদীর দুই তীরের বেশকিছু গ্রাম আজ তীব্র জলকষ্টে দিন অতিবাহিত করছে এবং নদিয়ালী মাছ এর ওপর নির্ভরশীল পরিবার গুলিও কর্মশূন্য হয়ে পড়েছে |
এই ব্লকে একটিও শহর নেই ,218 টি গ্রাম নিয়ে এই ব্লক ,যার আয়তন প্রায় 290 বর্গ কিলোমিটার |আত্রেয়ী নদী যেমন এই ব্লকের চালিকা শক্তি তেমনি বিভিন্ন সময় রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এলাকাবাসীকে তার ভয়াল অস্তিত্বের জানান দিয়েছে |1995 সালের ভয়াবহ বন্যার ফলে রসুলপুর ও বালুপাড়ার প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় নদীতীরে ভূস্খলন ঘটে ,এছাড়াও দাউদপুরে পাকা রাস্তা সহ বিশাল ভূভাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়েযায় ,এনাতুল্লাপুর ও গোবিন্দপুর ব্রিজেরও ব্যাপক ক্ষতি হয় |
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এমতাবস্থায় 2008 সাল থেকেই মানুষের ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে থাকে বাম অপশাসনের বিরুদ্ধে ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে এবং সেই গণআন্দোলনের রূপ দেন মমতা ব্যানার্জী |এরমদ্ধেই কুমারগঞ্জ ব্লকের জন্য দীর্ঘদিনের দাবীমত একটি ডিগ্রি কলেজ অনুমোদন হলেও কুমারগঞ্জ এর বাম নেতৃত্বের উদাসীনতায় সেটি চলে যায় পাতিরাম শ্মশান সংলগ্ন নদীতীরে | এটাই বারুদে অগ্নি সংযোগের কাজকরে |কুমারগঞ্জ এলাকার সমস্ত লোক তখন ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে এবং এই ক্ষোভকেই মূলধন করে 2011 সালে নির্বাচনী বৈতরণী পার হলো তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মাহামুদা বেগম |
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিকে ছাপিয়ে গিয়ে একনাগাড়ে উন্নয়নের ঘোড়া ছুটতে থাকে নতুন সরকারের নেতৃত্বে |2016 সালের মধ্যে এলাকায় উল্লেখ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটে | একটি ডিগ্রি কলেজ ,একটি আইটিআই কলেজ ,কিষান মান্ডি,এফসিআই গোডাউন ,নদীবাঁধ ,সংখ্যালঘু ছাত্রী হোস্টেল ,কর্মতীর্থ ,প্রচুর রাস্তাঘাট , উচ্চ বাতিস্তম্ভ ইত্যাদি | কিন্তু এতসব উন্নয়ন মূলক কাজ সত্ত্বেও মানুষ জনের ভেতরে একটা ক্ষোভ লক্ষ্য করাগেলো |
এর কারণ হলো দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ | বিশেষত 2014 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৎকালীন বিধায়কের মেয়ের চাকরি এবং সমগ্র ব্লকে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চাকরি না পাওয়া |জনগণের মুখে একটি চলতি কথা হয়ে দাঁড়ালো –ফেলো করি পাও টেট |এরপর সিভিক পুলিশ / ভলান্টিয়ার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ | কোনোরূপ শারীরিক মাপজোক ছাড়া বা লিখিত পরীক্ষা ছাড়া দলীয় ভাবে নিয়োগের অভিযোগ উঠতে শুরুকরে | এছাড়াও দূরদর্শিতার অভাব পরিলক্ষিত হলো কর্মতীর্থ ও সংখ্যালঘু ছাত্রী হোস্টেল তৈরীকে কেন্দ্রকরে | যা স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে উদ্বোধন করলেও আজও চালু করা গেলোনা |এছাড়াও কুমারগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে দশ মাইল এর রাস্তা,যা প্রায় দশ কোটি টাকা খরচ করে তৈরী হলেও নির্মাণ এর একমাসের মধ্যেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরে |
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});