শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এবং বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে বিদ্যালয়ের গেটে তালা মারলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
1 min readশিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এবং বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষার্থে বিদ্যালয়ের গেটে তালা মারলেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ।কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত রসিদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সংলগ্ন রসিদপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়। দীর্ঘদিনের পুরোনো রসিদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এতদ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং এই বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠে উচ্চ শিক্ষার স্বার্থে এতদ অঞ্চলের শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের আপ্রান চেষ্টায় রসিদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় উক্ত বাউন্ডারিতেই গড়ে উঠেছিল রসিদপুর জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়। দুই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী দের পঠনপাঠনে শিক্ষার প্রসার যেমন দিনের পর দিন প্রসারিত হতে থাকে তেমনি দুই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শরীর চর্চার জন্য খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল রসিদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠ।
তবে উক্ত বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠ টি দীর্ঘদিন ধরে চারিদিকে উন্মুক্ত অবস্থায় থাকার ফলে বিদ্যালয় দুটির সুরক্ষিতের অভাববোধ যেমন ছিল তেমনি বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সময়ে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল দুই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষদের। এমতাবস্থায় রসিদপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় দুটির সুরক্ষার স্বার্থে, পঠনপাঠনের স্বার্থে এমনকি বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষার্থে পৌর প্রশাসক অধীনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা পিরিয়ডে পৌর প্রশাসকের নিকট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় দুটির চারিদিকে পাকা বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণ হয় এবং বিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের জন্য এবং বিভিন্ন ভাবে উক্ত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু ছাত্রছাত্রীদের খেলার জন্য সৌন্দর্যায়ন ঘটানো হয়।
আচমকাই গত ১৩ই মে ২০২২ তারিখে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি, উপপৌরপতি , ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ আরো কয়েকজন কাউন্সিলর উক্ত বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রেখে ঘোষনা করেন উক্ত বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠটি কে পৌর পার্ক হিসেবে। তারপরে সময় অতিবাহিত হতে থাকে এবং পরবর্তীতে দেখা যায় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক ঘোষিত পৌর পার্কে পার্ক দেখাশোনা করার জন্য দুইজন পৌর কর্মী নিয়োগ করা হয়।
কিন্তু এলাকার শিক্ষানুরাগী জনগন প্রশ্ন তোলেন কিভাবে বিদ্যালয়ের নিজস্ব খেলার মাঠ কে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা পার্ক হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। বিশেষ করে ১৩ই মে বিদ্যালয় দুটির কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে , বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষদের না জানিয়ে সাড়ম্বরে ঘটা করে পৌর পার্ক ঘোষনা করার কোনো সরকারি নিয়ম মেনে কি কালিয়াগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ শিক্ষার পীঠস্থানের নিজস্ব সম্পত্তি তে পৌর পার্ক ঘোষনা করতে পারেন এই প্রশ্ন এলাকার শিক্ষানুরাগী জনগনের। তারপরেও যে বিষয়টি বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাচীর বেষ্টিত মাঠটিতে দুটি গেট, একটি বড় ও একটি ছোটো গেট যেখানে ছোটো গেট টিতে একবার দুই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তালা ঝুলিয়ে দিলেও ছোটো গেটের তালা কেউ কাহারা এক অজানা স্বার্থে সেই তালা ভেঙ্গে গেটের হাউসবল এর ফুটোর মধ্যে পাথর ঢুকিয়ে তালা না মারার বন্দোবস্ত করে রাখে। এই অবস্থায় সারাদিনরাত ছোটো গেটের তালা না থাকায় উক্ত বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠে সন্ধ্যের পর থেকে শুরু হয় অসামাজিক কার্যকলাপ।
এলাকার জনগন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের কাছে প্রত্যহ দেখা দিতে থাকে পঠনপাঠন এর শিক্ষার স্বার্থে উক্ত মাঠটি ক্রমাগত অসামাজিক কার্যকলাপের সর্গভূমি।
এমতাবস্থায় এলাকার শিক্ষানুরাগী জনগন এবং বিদ্যালয় দুটির কর্তৃপক্ষগণ প্রশ্ন তোলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা সত্যি করেই অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠটি পৌরসভার পার্ক হিসেবে কিভাবে ঘোষনা করতে পারেন এবং সেই অফিসিয়াল এক্তিয়ার কি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার আছে কিনা। আজ কে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের স্বপক্ষে বিদ্যালয়ের বৃহত্তর সুরক্ষার স্বার্থে, পঠনপাঠনের স্বার্থে সোচ্চার হয়ে প্রাচীর বেষ্টিত বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠের গেটে তালা মেরে বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষার্থে এগিয়ে এলেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন কার্যকলাপে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার অভিভাবক থেকে শুরু করে এতদ অঞ্চলের শিক্ষানুরাগী জনগন। তবে সকল বিষয় সমুহ দেখেশুনে ও জেনে সকলেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ৬ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সহ তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ড এমন অবৈধ ঘোষণা করে কিভাবে বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি কে পৌর পার্ক হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন।