টেট দুর্নীতির মাধ্যমে কারো সাড়ে সর্বনাশ কারো পৌষ মাস?উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাকরি চলে গেল ৪০জন প্রাথমিক শিক্ষকের,নাম প্রকাশ হবে কাদের মাধ্যমে অর্থের বিনিমযে তারা ভেজাল চাকরি পেয়েছিলেন
1 min readটেট দুর্নীতির মাধ্যমে কারো সাড়ে সর্বনাশ কারো পৌষ মাস?উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাকরি চলে গেল ৪০জন প্রাথমিক শিক্ষকের,নাম প্রকাশ হবে কাদের মাধ্যমে অর্থের বিনিমযে তারা ভেজাল চাকরি পেয়েছিলেন
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৪জুন:সঠিক পথে এস এস সি বা প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পেয়ে যাদের চাকরি চলে গেল এটা যেমন সত্য তেমনি যাদের হাতে লক্ষ লক্ষ্ টাকা দিয়ে অবৈধ উপায়ে অবৈধ নিয়োগ পত্র নিয়েছিল সেই সমস্ত যুবক যুবতীরা তারা কেন চাকরি চলে যাবার পরেও সেই সমস্ত নেতা যাদের হাতে জমি জমা ,সোনা দানা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রি করে ছিল চাকরির দোকান থেকে দিয়েসেই সব চাকরির দোকানদারদের কেন জন সমক্ষে আনা হচ্ছে না? এখানেও কি কোন বাধা নিষেধ চাকরি চলে যাবার পরেও আছে?এই প্রশ্ন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর চোপড়া, ডালখোলা করণদিঘি রায়গঞ্জ ইটাহার হেমতাবাদ গোয়াল পুকুর এবং কালিয়াগঞ্জ এর অধিকাংশ মানুষের।
সব সরকারের আমলেই চাকরি দেবার ব্যাপারে দলগতভাবে কিছু বিধিনিষেধ থেকেই থাকে। বামেদের আমলেও অনেক সুপারিশের মাধ্যমে অনেকেরই বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষ্কদের চাকরী হয়েছে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তারা বিয়ে সাধি করে নিজের মত করে সংসার করছে করছে বুক ফুলিয়ে চাকরী। কই বামেদের আমলের কোন শিক্ষকের আজ পর্যন্ত অবৈধ উপায়ে চাকরি নেওয়ার কারণে চাকরি কেরে নেওয়া হয়নি তো?আসলে সেই আমলে সুপারিশের মাধ্যম কিছু কিছু চাকরি হলেও পরীক্ষায় না বসে,খাতায় রোল নম্বর লিখে দিয়ে একজনেরও চাকরি হয় নি।কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সরকার যে তৃণমূল নামক দলটি চালাচ্ছে অনেকটা সরষের তেল মিল আছে সরসে নেই সরষের তেলের কারখানায় সরষে ছাড়াই সরিষার তেল উৎপাদন হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল সরকারের চাকরি দেবার পদ্ধতি শিক্ষা দপ্তরের পরিবর্তে তৃণমূলের নেতারাই ঠিক করেন কিভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হবে। আর তাতেই যত গণ্ডগোল।তৃণমূল সরকার ভেবেই নিয়েছিল তৃণমূল সরকার তিন তিন বার জনগণের আশীর্বাদ পেয়ে নির্বাচিত।আমরা যখন মানুষের রায় পেয়েছি সুতরাং আমরা যা খুশি তাই করতে পারি।সাধারন মানুষের প্রশ্ন বামেদের অপশাসন থেকে মুক্তি পাবার জন্য আপনাদের সাধারন মানুষরা ক্ষমতায় বসিয়েছিল চাকরি দেবার নাম করে যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি না দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়ার জন্য?ধরেই নিলাম টাকার বিনিময় অবৈধ চাকরির দোকান খুলে চাকরি দিয়েছেন হাজার হাজার অযোগ্য ব্যক্তিদের। সেই অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরিটাও রাখতে পারলেন না কেন? যারা জমি জমা সোনা দানা নিজের শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে ২০ লাখ ২৫ লাখ টাকা দিয়ে এসেছিল তাদের কি নিশ্চিন্ত করে বলে দিয়েছিলেন আমি যে চাকরি বিক্রি করছি সেই চাকরি ভেজাল চাকরি নয় বা কোন দিন ধরা পড়বে না।বা যদিও কোন দিন ধরা পরে যায় কোন ভাবে বা চাকরি চলে যায় তাহলে সমস্ত দেয়া টাকা ফেরত যোগ্য? বলেন নি। প্রশ্ন উঠেছে এখন সবার মুখে মুখে ২৬৯ টি ভেজাল চাকরির মাধ্যমে ৪০টি ভেজাল চাকরি উত্তর দিনাজপুর জেলার ভাগে পড়েছে প্রথম অবস্থায়।এই সব অবৈধভাবে নিয়োগ ভেজাল প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি চলে যাবার পর তারা কি ভাবে সমাজে মুখ দেখাবে?মুখ দেখানোর চেয়েও বড় প্রশ্ন তারা এখন কিভাবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে স্ত্রী ছেলে মেয়ে এবং মা বাবা পরিবার পরিজন নিয়ে?জীবনের সঞ্চিত সমস্ত অর্থইতো রক্ত জল করা অর্থ চাকরির ভেজালের বিপনন কেন্দ্রে দিয়ে এসেছে। ভেজালের চাকরির দোকান খুলে দেদারসে ভেজাল বিপনন কেন্দ্রের ম্যানেজার চাকরি দিয়েছিলেন তাদের কি টাকা ফেরত দেবার ব্যবস্থা করবেন? নাকি বলবেন তাদের সাথে এমন কোন লিখিত চুক্তি আমাদের ভেজাল বিপনন কেন্দ্রের ম্যানেজারের হয়নি যে তাদেরকে আমাদের টাকা ফেরত দিতেই হবে? এটাতো অনেকটা জুয়া খেলার মত ভেজাল চাকরির খেলা?তবে চাকরির ভেজাল বিপনন কেন্দ্রের ম্যানেজার বাবুরা যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ নয় তা বলাই বাহুল্য।ইতি মধ্যেই কানাঘুষা যা আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে মনে হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার এখন পর্যন্ত যে ৪০জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি হাইকোর্টের রায় চলে গেছে তারা ইতিমধ্যেই সঙ্ঘবদ্ধ হতে শুরু করেছে। তারা উত্তর দিনাজপুর জেলার যে সমস্ত চাকরির বিপনন কেন্দ্র থেকে টাকার মাধ্যমে চাকরি ক্রয় করে ছিলেন তারা ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত চাকরির বিপণন কেন্দ্রের দোকানদারের নাম একত্রিত করছে বলে জানা যায়।তারা তাদের ভবিষ্যত কর্মপন্থা নিয়ে অনেকেই একত্রিত হয়ে একটি পথ বেছে নিতে চলেছে। তাদের বক্তব্য আমাদের যেমন সম্মান গেছে অর্থ গেছে তেমনি আমরাও যাদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকা বাড়িতে গিয়ে দিয়ে এসেছি তাদেরকেও শান্তিতে ঘুমাতে দেব না রাখবনা কোন সন্মান।।আমাদের যেমন শিক্ষকতার চাকরি চলে গিয়ে মান সম্মান হারিয়েছি। ঠিক তেমনি ভাবেই আমরাও প্রকাশ্যে সেই সমস্ত তৃণমূল নেতাদের নাম লোকসমাজের সামনে তুলে ধরবো যে এরাই আমাদের জীবনের সর্বনাশ ডেকে এনেছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়।