কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে পৌর সভার সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ চার মাস ধরে বন্ধ,সাধারণ মানুষের পরিষেবা বন্ধে ক্ষুব্ধ নাগরিক রা
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে প্রবল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে পৌর সভার সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ চার মাস ধরে বন্ধ,সাধারণ মানুষের পরিষেবা বন্ধে ক্ষুব্ধ নাগরিকরা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৭ডিসেম্বর:পৌর সভার নির্বাচনের প্রস্তাবিত দিন ঘোষণার পর থেকে যখন কালিয়াগঞ্জের সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি নিজেদের ঘর গোছানোর জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে, তখন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে তীব্র গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারনে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত পাঁচ মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে বলে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সোমবার।
কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক শচিন সিংহ রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন পৌর সভার গুরুত্বপূর্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গত পাঁচ মাস ধরে বার বার পৌর সভার মিটিং ডাকা হলেও পৌর সভার তিন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য প্রতিটি সভা বয়কট করে চলছে।ফলে কোন গুরুত্বপূর্ন উন্নয়নমূলক কাজের সিধান্ত তিনি নিতে পারছেন না।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার প্রসাশক শচিন সিংহ রায় বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি বার বার কালিয়াগঞ্জে এসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করে গেলেও কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তিন প্রসাশক মন্ডলীর সিনিয়ার সদস্য তথা উপ পৌর প্রসাশক বসন্ত রায়,কমল ঘোষ এবং রাজীব সাহা জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কোন কথাকেই গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে আছেন।তারা জেলা সভাপতি র নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় হয়ে আছে।
কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় বলেন সোমবার পৌর সভার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নেবার জন্য সভা ডাকা হয়েছিল।কিন্তূ তিন প্রসাশক মন্ডলীর একজন সদস্যও সভায় উপস্থিত না হবার জন্য কোন সিধান্ত গ্রহণ করা যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।: তিনি বলেন এই ভাবে পৌর সভা চালানো তার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা।পৌর সভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে যদি শহরের মানুষদের জন্য কাজ না করতে পারি তাহলে এই পদে বসে শোভাবর্ধন করার কোন প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না।
পৌর প্রশাসক শচিন সিংহ রায় বলেন সামনেই পৌর নির্বাচন।নির্বাচনের পূর্বে এমন অনেক কাজ আছে যেগুলিরর সিধান্ত নিতেই হবে কিন্তূ প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যরা যদি সভায় না আসে সেই সিধান্তগুলি কি ভাবে নেওয়া যেতে পারে? শচিন সিংহ রায় বলেন সোমবারের সভায় দীর্ঘ ছয়মাস ধরে একজন পৌর স্বাস্থ্য কর্মীর কাজ যেকোন কারনেই হোক বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।সেই মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীকে কাজে বহাল করবার সিধান্ত আজকের সভায় অনুমোদনের ব্যাপার ছিল।কিন্তূ সেই গুরুত্বপূর্ন সিধান্ত নেওয়া গেলনা ঐ তিনজন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের না আসার কারনে।সোমবারের সভায় তারা এলেই তাকে কাজে পুনর্বহাল করা যেতে পারতো।সেই দরিদ্র মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী ছয় মাস ধরে কোন বেতন না পাবার ফলে বার বার পৌর সভায় এসে আবেদন করছে।প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।অথচ প্রসাশক মন্ডলীর গুরুত্বপূর্ন সদস্য হয়েও তারা এই মানবিক দিককেও তারা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বাইরে নিতে পারছেন না।যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন আমাদের পৌর প্রসাশক মন্ডলীর দায়িত্বে রাখা হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করার জন্য নয় মানুষদের পরিষেবা দেবার জন্য। তিনি বলেন সমস্ত ঘটনা তিনি পুনরায় তাদের নেতা তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রওয়ালকে জানাবেন বলে এর একটা বিহীত করবার জন্য।যদিও তিন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের বক্তব্য তাদের না জানিয়ে অনেক সিধান্ত পৌর প্রসাশক নেন অন্যায় ভাবে তার কারনেই নাকি তারা সভা বয়কট করেন।এ ব্যাপারে পৌর প্রসাশক বলেন তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পুর্ন অসত্য বলে তিনি জানান।কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কিছু নাগরিকদের বক্তব্য যারা পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য হয়েও কোন সভায় উপস্থিত থাকেন না তারা যদি কোন কাজই না করে কেন তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন না?শুধু প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য বলে সবার কাছে জাহির করার কোন প্রয়োজন আছে কি?