January 6, 2025

কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের উদ্দ্যোগে কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের নিয়ে আলোচনা শিবির

1 min read

কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের উদ্দ্যোগে কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের নিয়ে আলোচনা শিবির

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১০ সেপ্টেম্বর: বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের কুনোর হাট পাড়ার টেরাকোটা শিল্পীদের উন্নয়নে একটি আলোচনা শিবিরের আয়োজন করে।এই আলোচনা শিবিরে গ্রামীন হস্তশিল্পীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের কি ভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব সেইসব নিয়ে আলোচনা হয়।বৃহস্পতিবার কুনোর হাট পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “চৌপাল” নামক এই আলোচনা সভার মূল উদ্যোগ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প দপ্তরের অধীন বস্ত্র শিল্প উন্নয়ন কমিশনার শিলিগুড়ি।কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন হস্ত শিল্প উন্নয়ন আধিকারিক শুভেন্দু আচার্য জানাগ্রামীন হস্ত শিল্পীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চালু পেনশন প্রকল্প,মুদ্রা ঋণ,

প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা প্রকল্পের মত সুযোগ সুবিধা গ্রামীন হস্ত শিল্পীরা কি ভাবে পেতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন হস্ত শিল্প উন্নয়ন আধিকারিক শুভেন্দু আচার্য বলেন কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীন হস্ত শিল্পীদের উন্নয়নে যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে সেই সব সুযোগ সুবিধা নিতে গেলে প্রথমেই হস্ত শিল্পীদের সংগ্রহ করতে হবে এই দপ্তর থেকে পরিচয় পত্র।পরিচয় পত্র পেতে হলে হস্ত শিল্পীদের শিলিগুড়িতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের এই দপ্তরে আবেদন করতে হবে।হস্ত শিল্পীরা পরিচয় পত্র পেলেই এই দপ্তরের মাধ্যমে তারা মুদ্রা ঋণ,বীমা যোজনার সুযোগ,হস্ত শিল্পের বিপণন ব্যবস্থার সুযোগ সুবিফহা অতি সহজেই পেতে পারবেন।

 

শুভেন্দু বাবু আরো বলেন যদি কোন হস্ত শিল্পীদের ৬০ বছর হয় তাহলে সেই সব হস্ত শিল্পীরা প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা করে পেনশন পাবার জন্য নির্বাচিত হবেন বলে জানান।তিনি জানান যে সমস্ত হস্ত শিল্পী টেরাকোটা,বাঁশ শিল্প, শীতলপাটি ও শোলা শিল্পের সাথে যুক্ত তাদের জন্যই বিশেষভাবে এই সুযোগ সুবিধাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বস্ত্র মন্ত্রকের অধীন হস্ত্র শিল্প দপ্তর শিলিগুড়ির দপ্তর থেকে পেতে পারেন বলে জানান।এই আলোচনার ফলে কালিয়াগঞ্জের টেরাকোটা শিল্পী,শোলা শিল্পী ও বাঁশের শিল্পের সাথে যুক্ত তারা প্রচন্ড উৎসাহিত হয়।

 

কুনোর হাট পাড়ার রাজ্য স্তরের পুরস্কার প্রাপ্ত টেরাকোটা শিল্পী গোপাল রায়,দুলাল রায় বলেন তাদের এলাকায় অনেক শিল্পীর বয়স ষাট বছরের বেশি বয়স হয়েছে তারা যদি প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা করে পেনশন পায় তাহলে এই সমস্ত হত দরিদ্র শিল্পীরা যে কদিন বেঁচে থাকবেন তারা খেয়েপরে।বাঁচার সুযোগ পাবে বলে তারা মনে করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *