কালিয়াগঞ্জ এর গাছ পাগল সাধু নারায়ন সরকার এর কীর্তি দেখুন
1 min readকালিয়াগঞ্জ এর গাছ পাগল সাধু নারায়ন সরকার এর কীর্তি দেখুন
তন্ময় চক্রবর্তী বিশ্ব উষ্ণায়ন কী? তা তিনি বোঝেন না। দূষণের জেরে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর বিষয়টিও তাঁর অজানা। শুধু বোঝেন, আগামীকে বাঁচাতে সবুজায়ন চাই। তাই তিনি গাছ লাগান। পথ প্রান্তরে গাছ লাগানোই তাঁর নেশা। প্রতিদানে প্রশাসন বা সমাজের কাছে চান না কিছুই। চান, গাছ গুলো যেন বেঁচে থাকে। কেউ যেন কুঠারহাতে হত্যা লিলা না চালায়।এই বার্তাকে সামনে রেখে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের যোগীপুকুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ সরকারের গাছ লাগিয়ে চলেছেন দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত। জীবনের অনেকটা বছর নীরবে নিভৃতে বিভিন্ন এলাকায় গাছ লাগিয়ে চলেছেন নারায়ণ সরকার, যিনি ঐ এলাকায় “ গাছ পাগলা” বলেইপরিচিত । তাঁর কাজের ধরণ শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন । লোকটার নেশা রাস্তার ধারে ধারে গাছ লাগানো ।
ষাটোর্ধ নারায়ণ বাবু বিনা পারিশ্রমিকে ২০ বছর বয়স থেকে গাছ লাগিয়ে চলেছেন । এপর্যন্ত তাঁর হাতে দের লক্ষের বেশী চারা গাছ রোপণ হয়েছে । এর মধ্যে আম জাম, কাঁঠাল লিচু চারাও বট অশ্বত্থ, কদম সহনানা প্রকারের গাছ রয়েছে । ক্লাস থ্রি পর্যন্ত তিনি পড়াশুনা করেছেন ।কথায় বলে, দু এক জন ভালো মানুষের জন্য আমরা শ্বাস নিতে পারি । আর তাই এই এলাকা আজ সবুজে ভরে গেছে।পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন কৃষিজীবী । তিনি বলেন, ২০ বছর বয়স থেকে রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজ করি । আমার হাতে লাগানো অনেক গাছ এখন ও রাস্তার ধারে রয়েছে । বিশেষ করে মনোহরপুর থেকে যোগী পুকুর যাওয়ার ৫কিলোমিটার রাস্তার দুপাশে যত গাছ রয়েছে সবই আমার হাতে লাগানো । এছারাওআশেপাশের মনোহর পুর, রামকৃষ্ণ পুর সহ বালাস সংসদ এলাকায় অন্তত ৫০ হাজারেরও বেশী গাছ লাগিয়েছি । এগুলির মধ্যে অনেক গাছ এখনও বেচে রয়েছে অনেকগুলি আবার দুষ্কৃতীরা কেটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে । কিন্তু আমার কাজ আমি করে যাচ্ছি । চোখের সামনে গাছ টাকা দেখলে আমি আর স্থির হয়েথাকতে পারিনা। কোন কোন সময় তাঁদের সঙ্গে আমার ঝগড়াও হয়ে যায়। কখনো কখনো ভাবী কেন? কার জন্য আমি গাছ লাগাচ্ছি ? আবার সব ভূলে নিজের তাগিদেরাস্তার ধারে গাছ লাগাতে থাকি। আমি চাই আগামী প্রজন্ম যেন সুস্থ সবল ভাবেবেঁচে থাকতে পারে। শুধু নিজেই গাছ লাগানোর কাজ করে থেমে থাকেন না নারায়ণবাবু। আশেপাশেরবাসিন্দাদের গাছ লাগানোর জন্য রীতিমতো বুঝিয়ে বলেন , “একটি গাছ অনেক প্রান”। তাঁর ব্যাখ্যা, একটি গাছ থেকে কলম করে হাজারের উপরচারা বানানো যায়। ফলে একটি গাছ থেকে সৃষ্টি হয় অনেক প্রাণ।