জৈব সার তৈরীর প্রকল্প বন্ধ হবার ফলে ১১জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ হারিয়ে সমস্যায়
1 min readজৈব সার তৈরীর প্রকল্প বন্ধ হবার ফলে ১১জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ হারিয়ে সমস্যায়
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৪ জুলাই: উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৭নম্বর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্জ্য পদার্থ থেকে জৈব সার তৈরীর একটি সরকারি প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রসাশনের সহায়তায় ও ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্দ্যোগে। ওই কাজে যুক্ত করা হয়েছিল এলাকার ১১জন স্বনির্ভর দলের মহিলাদের।জানা যায় ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সেরগ্রামের কুঁকরামনি এলাকায় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের অধীনে দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প।
স্বনির্ভার গোষ্ঠীর মহিলারা গ্রাম্য এলাকায় বাড়ি বাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে সার তৈরী করতে থাকে।নিজের হাতেই ঐ১১জন মহিলা এই জৈব সার তৈরি করতো।তবে কাজ করলেও গত চার মাস ধরে কোন বেতন না পাওয়ায় কাজ করা বন্ধ করে দেয় বলে জানা যায়।টাকা পয়সা না আসায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান। প্রকল্পটি পুনরায় চালু করবার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে ।ঐ প্রকল্পের সাথে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নিরূপা বর্মন,কালন বর্মন,বিউটি চৌধুরী অভিযোগ করেন গ্রাম থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য দুটি তত দেওয়া হলেও তা ঠিক করার পয়সা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দিতনা।তাদের আরো অভিযোগ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে তাদের কোন পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি।এ ব্যাপারে গ্রাম পঞ্চায়েত,বিডিও,যুগ্ম বিডিও এবং জেলা সাশককে জানিয়েও তারা কোন উপকার পায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভান্ডার পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ চন্দ্র বর্মন বলেন মহিলাদের স্ব নির্ভর করতে দুই বছর পারিশ্রমিক দেবার কথা ছিল।টাকা পয়সা না আসায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান প্রধান কৃষ চন্দ্র বর্মন। প্রকল্পটি পুনরায়চালু করবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বলে ব্লকের যুগ্ম বিডিও ডোমিত লেপচা জানান।অতিরিক্ত জেলা সাশক অর্ণব চ্যাটার্জি বলেন নুতন করে এর পরিকাঠামো তৈরি করে এই ধরনের বজ্য ব্যবস্থ্যাপনা প্রকল্পটি ভালো করে করবার তিনি আশ্বাস দেন।